কৃষক আন্দোলনের এই আবহে আরও একবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। শুক্রবার তিনি অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার জন্য নৈরাজ্যবাদী উপাদনগুলিকে সমর্থন করছেন। একই সঙ্গে জাতীয় পাতাকার অবমাননার কোনও প্রতিবাদ করছেন না বলেও অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিতর্কিত কৃষি আইন ও কৃষক আন্দোলন ইস্যুতে শুক্রবারই সাংবাদিক সম্মেলন করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি বলেন কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেই কেন্দ্রের সমস্যা সমাধান করা উচিৎ। পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাহুল গান্ধী।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের প্রতিবাদে স্মৃতি ইরানি রীতিমত সুর চড়িয়েই আক্রামণে নামেন। তিনি বলেন, আজ সারা ভারত সাক্ষী রইল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী কী ভাবে দেশে হিংসা ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলছেন। কোনও রাজনৈতিক নেতা এর আগে এজাতীয় কাজ করেনি। তিনি আরও বলেন কংগ্রেস নেতার এজাতীয় মন্তব্য খুবই হতাশাজনক। গত ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের সঙ্গে সংঘর্ষে দিল্লি পুলিশের ৩০০ কর্মী আহত হয়েছিল। এই নিয়ে রাহুল গান্ধী একটি মন্তব্য কেন করলেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন স্মৃতি ইরানি।
এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি কৃষি আইনের সমালোচনা করে তার পরিণতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। একই সঙ্গে তিনি বলেন, কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হতে পারে। আর সমাধানের একমাত্র রাস্তা হল আইনগুলি প্রত্যাহার করে নেওয়া। একই সঙ্গে তিনি কৃষকদের পাশে থাকার বার্তাও দেন। তিনি কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরেই বলেন সরকার যেনে ভেবে না নেয় কৃষকরা বাড়ি ফিরে যাবে। কিন্তু পরিস্থিতি আরও ছড়িয়ে পড়ারও আশঙ্কা করেন তিনি। যদিও একই সঙ্গে তিনি বলেন পরিস্থিতি আরও খারাপ হোক এটা তিনি চাননা। একই সঙ্গে লালকেল্লা ইস্যুতে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে কেন প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছিল লালকেল্লায়। তাদের আগে কেন থামান হয়েনি। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উৎসাহ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গান্ধী।
কৃষক নেতা রাকেশের কান্না প্রাণ ফেরাল আন্দোলনের, কৃষক মহাপঞ্চায়েতে জনসমুদ্র ...
কর্মক্ষেত্রে থাকবে ক্রেশ, মহিলাদের কাজে উৎসাহ দিতে একগুচ্ছ পরামর্শ আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে ...