সাগর শর্মা নামে ওই অভিযুক্ত সন্ত্রাসী হামলার বার্ষিকীতে নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে লোকসভায় প্রবেশ করেছিল। আর সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের আগে, সাগর ইন্টারগ্রামে একটি পোস্ট করে। যা মুহূর্তে হল ভাইরাল।
১৩ ডিসেম্বর ২০০১ সালে দিল্লির সংসদের হামলার স্মৃতি ফের ফিরে এসেছে। দেশের সংসদে প্রবেশ করে ২ যুবক। তারা ভিজিটার্স গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিচে নামে। ততক্ষণ চলছিল লোকভার অভিবেশন। এই পরিস্থিতিতে ওই যুবকরা হলুদ রঙের গ্যাস ছাড়তে থাকে। আতঙ্কের চোরা স্রোত বইতে শুরু করে। তার মাঝে কয়েকজন সাংসদ পাকড়াও করেন ওই যুবককে। চলে মারধর।
এদিকে, লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন ফের আক্রান্ত ভারতীয় পার্লামেন্ট। তাও আবার সংসদ হামলার ২২ বছর পূর্তির অভিশপ্ত দিনেই। সংসদের নিয়ম, প্রবেশপত্র বা অনুমতিপত্র থাকলে যে কেউ প্রবেশ করতে পারে সংসদ ভবনে। এদিনও এমন করেছিলেন সাগর।
সাগর শর্মা নামে ওই অভিযুক্ত সন্ত্রাসী হামলার বার্ষিকীতে নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে লোকসভায় প্রবেশ করেছিল। আর সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের আগে, সাগর ইন্টারগ্রামে একটি পোস্ট করে। যা মুহূর্তে হল ভাইরাল। তিনি লিখেছিলেন, জিতে ইয়া হারে, পার কোশিশ তো জরুরি হ্যায়...। আপনি জিতুন বা হারুন না কেন চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ।
অন্য একটি পোস্টে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করার বিষয় একটি উদ্ধৃতি শেয়ার করেন। এভাবে ভাইরাল হল সেই পোস্ট।
অনেকেরই অনুমান লোকসভার কোনও দলের সাংসদ সাগরকে সংসদের প্রবেশাধিকার পাইয়ে গিয়েছিল। তাঁর বাড়ি কর্নাটকে। সে দিল্লিতে এসেছিল মাইসুরু থেকে। পুলিশ জানায়, তাঁর থেকে সংসদে ঢোকার যে প্রবেশপত্র উদ্ধার হয় তাতে লেখা রয়েছে কর্নাটকেরই এক সাংসদের নাম। সেই সাংসদ আবার কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপিরই সাংসদ। তারই আনুকূল্যে সংসদে ঢোকার প্রবেশপত্র পেয়েছিল সাগর। এবার ভাইরাল হল তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট। সে যে সবই পরিকল্পনা করে করেছে তা জানা গেল সহজে।
আরও পড়ুন
Viral Video: ভাইরাল হতে বেপরোয়া স্ট্যান্ট, একটুর জন্য প্রাণে বাঁচলেন এক সাইকেল আরোহী
সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় UAPA-এর অধীনে মামলা দায়ের, তদন্ত শুরু করল দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল