খুন করার জন্য ৬২ বার মাকে কুপিয়েছিল ছেলে। এরপর মায়ের শরীর থেকে হার্ট, কিডনি ও অন্ত্র ছিঁড়ে খায়।
বীভৎস ঘটনা বললেও কম বলা হয় বোধহয়। এতটাই ভয়াবহ এই ঘটনা, যা স্তম্ভিত করে দিয়েছে বিচারকদেরও। ২০১৭ সালের ঘটেছিল একটি খুনের ঘটনা। যার সাজার শুনানি হল ৮ই জুলাই। বিচারকদের মতে এই মামলায় যা তথ্য বেরিয়ে এসেছে, তার মতো বীভৎস ঘটনা আগে কখনও তাঁরা শোনেননি।
২০১৭ সালে নিজের মাকে খুন করে ছেলে। সেখানেই শেষ নয়। খুন করার জন্য ৬২ বার মাকে কুপিয়েছিল সে। এরপর মায়ের শরীর থেকে হার্ট, কিডনি ও অন্ত্র ছিঁড়ে খেয়েছিল ওই গুণধর ছেলে। সেই ছেলের বীভৎস কর্মকান্ড দেখে রীতিমতো চোখ কপালে বিচারকদের। মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের মাক্কাডওয়ালা বাসাতের ঘটনা। স্থানীয় আদালতের বিচারকরা গোটা ঘটনাক প্রবল নিন্দা করেন।
ক্যামেরার সামনেই মহিলার শাড়ি টেনে খুলে ফেলার চেষ্টা, নির্বাচনের নামে ধুন্ধুমার যোগীরাজ্যে
গত বছরের তুলনায় ছয়গুণ বেড়েছে খাবারের অভাব, ২০২২ সালে আসতে পারে দুর্ভিক্ষ : রিপোর্ট
২০১৭ সালের ২৮শে অগাষ্ট এই খুনের ঘটনা ঘটে। ৩৫ বছরের অভিযুক্ত সুনীল কুচিকোরভি তখন থেকেই পুলিশের হেফাজতে। পুলিশের চার্জশিটের বয়ান অনুযায়ী অভিযুক্তের মায়ের দেহ পাওয়া গিয়েছিল ছিন্ন ভিন্ন অবস্থায়। যখন ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়, তখনও তার মুখ থেকে রক্ত পড়ছিল। মায়ের দেহের বিভিন্ন জায়গায় নুন ও গোলমরিচ ছিটিয়ে খুন করা হয়েছিল বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
সারা শরীর পাথর হয়ে যাচ্ছে, বিরল রোগে আক্রান্ত পাঁচ মাসের ছোট্ট মেয়ে
ঘটনার বীভৎসতা দেখে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির কথা উল্লেখ করেন বিচারকরা। ধৃতকে মৃত্যুদন্ডের সাজা শোনানো হয়। কিন্তু কেন এরকম ঘটনা ঘটিয়েছিল ধৃত, পুলিশ চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে সেকথা। মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে ফের মদ কেনার জন্য টাকা চেয়েছিল সুনীল, তার মায়ের কাছে। কিন্তু তার মা সেই টাকা দেননি। প্রবল আক্রোশে তাই মাকে ওরকম বীভৎস ভাবে খুন করে সুনীল। মায়ের শরীরের অংশ খাওয়ার কথা স্বীকার করেছে ধৃত।