
ভোট শেষ! তাই যুদ্ধেও ইতি টানতে চান রাহুল গান্ধী। তাঁর নিজের চূড়ান্ত প্রতিপক্ষের পাশে দাঁড়িয়ে দলের নেতার কর্মীদের রীতিমত ধমক দিলেন রাহুল গান্ধী। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধী বলেন, 'জয় পরাজয় জীবনে ঘটেই থাকে। আমি সবাইকে বলছি অপমানজনক ভাষা ব্যবহার যেন আর ব্যবহার না করা হয়। একই সঙ্গে সতর্ক করছি স্মৃতি ইরানি বা অন্য কোনও নেতার প্রতি কদর্য আচরণ থেকে বিরত থাকুন।' কংগ্রেস নেতা আরও বলেছেন, মানুষকে অপমান করা ও অবমাননা করা দুর্বলতার লক্ষণ। এতে কোনও বীরত্ব নেই।
কিন্তু প্রশ্ন কেন এই ধমক রাহুল গান্ধীর- তাহলে তাঁর দলের সদস্যদের বক্তব্যের দিকেই নজর রাখতে স্পষ্ট হয়ে যায়। সম্প্রতি এক কংগ্রেস নেতা ও গান্ধী পরিবারের অনুগত সদস্য কিশোরী লাল শর্মা বলেছিলেন, স্মৃতি ইরানি একজন উৎশৃঙ্খল মহিলা। তাঁর দল রাহুল গান্ধীকে বারবার অপমান করেছে। রায়বরেলি থেকে দাঁড়ানোর জন্য কটাক্ষ করেছে। কিন্তু লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়াই স্মৃতি ইরানির কবরে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে। তাঁর প্রাপ্তির ভাণ্ডার শেষ হয়ে গিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব থেকে সরকারি বাংলো সবই হারাতে হয়েছে। কংগ্রেস নেতার এই মন্তব্যের পরই রাহুল গান্ধী দলের নেতা ও কর্মীদের কুকথা বলা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে স্মৃতি ইরানি ইতিমধ্যেই তাঁর লোকসভার বাংলো খালি করেছেন। তাঁর বাংলো ছিল ২৪ তুঘলক ক্রিসেন্টে। এস্টেট অধিদপ্তর প্রাক্তন মন্ত্রী এবং লোকসভা সাংসদদের অফিসিয়াল বাসস্থান খালি করার নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ করে তাদের , যারা নির্বাচনে হেরেছে বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। কর্মকর্তারা বলেছেন, দখলকারীদের ৮-১০ জুলাইয়ের মধ্যে বাংলোগুলি খালি করতে বলা হয়েছিল। তারপরই নিজের বাংলো ছেড়ে দেন স্মৃতি। যা নিয়ে অনেক কংগ্রেস কর্মী তাঁকে কটাক্ষ করেছেন। অনেকেই নির্বাচনে হারার জন্য উপহাসও করেছিলেন। তাদেরই সংযত হতে বলেন রাহুল গান্ধী।
বিজেপি সূত্রের খবর স্মৃতি ইরানি, অর্জুন মুণ্ডা, আরকে সিংকে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত করার প্রস্তুতি শুরু করেছে।