সময় সময়ে প্রায় ১৪টি ভাষ্কর্য ভারত ছেকে চুরি হয়ে গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তৎপরতায় সেগুলি ফিরে আসতে চলেছে ভারতে।
ভারত থেকে চুরি হওয়ার প্রায় ১৪টি প্রাচীন প্রায় ১৪টি ভাষ্কর্য পুনরায় উদ্ধার হতে চলেছে। এশিয়ার আর্ট গ্যালারি থেকে ১৪টি অমূল্য ভাস্কর্য চুরি হয়েছিল। সেগুলি আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রিও হয়েছিল। বর্তমানে সেগুলি উদ্ধার হতে চলেছে।আবারই ফিরে আসছে ভারতে। আন্তর্জাতিক বাজারে এগুলির মূল্য প্রায় মিলিয়ন ডলার বা ২২ কোটি টাকা। এগুলির মধ্যে রয়েছে ৬টি ভাস্কর্য, ৬টি ছবি আর একটি আঁকা স্ক্রোল। চুরি হওয়ার ভাস্কর্যগুলি দ্বাদশ শতাব্দীর বলেও মনে করছেন ঐতিহাসিরকার।
বিদেশ ও সংস্কৃতিক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে ভাষ্কর্যগুলি দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন ভাষ্কর্যগুলি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী কঠোর পরিশ্রম করেছিলে। তিনি বলেছেন সম্মিলিত প্রচেষ্টার জন্য আর প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ভারত প্রাচীন ভাষ্কর্যগুলি ফিরে পেতে চলেছে। ১৪টি চুরি হওয়া সামগ্রী আবারও দেশে ফিরে আসছে চলেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শুরু হয়ে গেছে কোভিডের চতুর্থ তরঙ্গ, করোনার ডেল্টা রূপ নিয়ে সতর্ক করল WHO
একটি সোশ্যাল সাইট জানিয়েছে ভারত আর অস্ট্রেলিয়া একসঙ্গে সাংস্কৃতির ঐতিহ্যগুলি বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছিল। ন্যাশানাল গ্যালারি অব আর্টের প্রধান মিক মিতজেভিচ বলেছেন ১৪টি পুরা সামগ্রী নিউইয়র্কের ব্যবস্তায়ী সুভাষ কাপুর কিনেছিলেন। একটি সামগ্রী ইউলিয়ম উলফের কাঠ থেকে ১৮৮৯ সালে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। ইউলিয়মও সেটি ভারতের হাতে তুলে দিতে রাজি হয়েছেন। ন্যাশালান আর্ট গ্যালারির পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় তৎকালীন অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী কাপুরের পাচার করা একটি ৯০০ বছরের পুরনো শিবমূর্ত ফেরত দিয়েছিলেন।
ছবিতে দেখুন কলকাতার জল যন্ত্রণা, ঢুবে গেল বাস- ভাসছে টিকিয়াপাড়া রেল ইয়ার্ড
'মিজোরামে যাবেন না', এই আবেদনের পরে আরও কড়া পদক্ষেপ অসম সরকারের
সুভাষ কাপুর, কুখ্যাত চোরাচালানকারী। ভারতের একাধিক স্থাপত্য ভাষ্কর্য বিদেশে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১১ সালে অক্টোবরে জার্মানিতে একটি মূর্তি পাচার করার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযোগ কাপুর গত ৩০ বছরে কয়েকশো ভাষ্কর্য, ছবি, প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দর্শন বেআইনি ভাবে এই দেশ থেকে বিদেশে পাচার করেছিলেন। ম্যানহাটনে তার একটি আর্ট গ্যালারি রয়েছে। সেই আর্ট গ্যালারির আড়াতেই এই অসাধু ব্যবসা সে দীর্ঘ দিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছিল।