জয়পুর। রাজস্থানে আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলেছে। তিন-চার দিনের মধ্যেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৯ বছর বয়সী একজন সাব-ইন্সপেক্টর, ৪০ বছর বয়সী দুই ক্রিকেটার রয়েছেন। তিনজনেরই খেলার সময় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে। এখন আজ রাজধানী জয়পুর থেকে দুটি ঘটনা সামনে এসেছে। এদের মধ্যে ৩৫ বছর বয়সী এক যুবকের মর্নিং ওয়াক করার সময় মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের ঘুমের মধ্যে সাইলেন্ট অ্যাটাক হওয়ায় মৃত্যু হয়েছে। এই ধারাবাহিক মৃত্যুর পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আজ সকালে রাজধানী জয়পুরে ৩৫ বছর বয়সী প্রদীপের মৃত্যু হয়েছে। জয়পুরের শিপ্রাপথ এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ কাছের একটি মাঠে মর্নিং ওয়াক করছিলেন। সকাল ৫টা থেকে ৭:৩০টার মধ্যে মর্নিং ওয়াক শেষ করার পর যখন প্রদীপ মাঠেই একটি বেঞ্চে বসলেন, তখনই তিনি পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেয়। কিছুক্ষণ পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু ততক্ষণে প্রদীপের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও আসেনি। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
অন্যদিকে, জয়পুরের মানসরোবর এলাকার বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী যতীন্দ্রর মৃত্যু হয়েছে। যতীন্দ্র প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গতকাল রাতে পড়াশোনা শেষ করে যখন তিনি কম্বলের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন, তখন তিনি মুখ কম্বলের ভিতরে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন। আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত যখন তিনি জাগ্রত হননি, তখন তার বন্ধু তাকে জাগানোর চেষ্টা করে। পরে শরীরে কোনও নড়াচড়া দেখা যায়নি। বন্ধুটি যতীন্দ্রর ভাইকে ফোনে এই ঘটনা জানায় এবং যতীন্দ্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে, ঘুমের মধ্যে সাইলেন্ট অ্যাটাক হওয়ায় যতীন্দ্রর মৃত্যু হয়েছে। পরিবার গভীর শোকে আচ্ছন্ন।
এই দুটি ঘটনা ছাড়াও, গত তিন-চার দিনে রাজস্থানে তিনজনের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে। যোধপুরের ৪০ বছর বয়সী ক্রিকেটার নীরজ হোন বা বালোতরা শহরের ৩৯ বছর বয়সী সাব-ইন্সপেক্টর করণদান হোন, এছাড়াও ৪০ বছর বয়সী জয়পুরের আরও একজন ক্রিকেটার মাঠেই মারা গেছেন। এই ঘটনাগুলি মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। চিকিৎসকরা হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে বড় কারণ ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং মানসিক চাপ বলে মনে করেন।