Sukhoi SU-57M AI যুদ্ধবিমান: রাশিয়া Sukhoi SU-57M এর AI-সহায়তা সংস্করণ পরীক্ষা করেছে, যুদ্ধবিমান নিজেই উড়ान ও লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করবে। ভারতের কাছে ইতিমধ্যেই ২৫০ টিরও বেশি Sukhoi জেট রয়েছে, জেনে নিন কীভাবে নতুন প্রযুক্তির সুবিধা পাবে।
Sukhoi SU-57M AI যুদ্ধবিমান: রাশিয়া তার উন্নত যুদ্ধবিমান Sukhoi SU-57M এর AI-সহায়তা সংস্করণ সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। এই ঐতিহাসিক পরীক্ষায় যুদ্ধবিমানে একজন পাইলট ককপিটে উপস্থিত ছিলেন কিন্তু উড়ান থেকে শুরু করে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ পর্যন্ত সমস্ত দায়িত্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) পালন করেছে। এই পরীক্ষা কেবল রাশিয়ার জন্য নয়, বরং বিমান প্রযুক্তির ইতিহাসে এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
25
মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই যুদ্ধবিমান!
AI উড়ান, ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ, নেভিগেশন এবং শত্রুর লক্ষ্য নির্বাচন করার মতো সব সিদ্ধান্ত নিজেই নিয়েছে। অর্থাৎ মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই যুদ্ধবিমানকে সামরিক অভিযানে পাঠানোর স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে।
35
AI সঠিকতা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বাড়াবে
বিশেষজ্ঞদের মতে, Sukhoi SU-57M এর এই নতুন সংস্করণ যুদ্ধের সময় দ্রুত এবং উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হবে। AI কেবল শত্রুর কার্যকলাপের উপর নজর রাখবে না, বরং রিয়েল টাইমে প্রতিক্রিয়াও জানাবে, যার ফলে লক্ষ্যবস্তুকে সঠিকভাবে ধ্বংস করা যাবে।
রাশিয়া ১৯৯৯ সাল থেকে PAK-FA (Perspective Aviation Complex of Frontline Aviation) নামে একটি প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে যার উদ্দেশ্য ছিল পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ যুদ্ধবিমান তৈরি করা। SU-57 এই প্রোগ্রামেরই অংশ, কিন্তু এখন যে SU-57M সংস্করণ সামনে এসেছে তা কেবল আগের চেয়ে উন্নত নয়, বরং আমেরিকার F-22 Raptor এবং F-35 Lightning II এর মতো জেটগুলিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা রাখে।
55
ভারত কীভাবে লাভবান হবে?
ভারতের কাছে ইতিমধ্যেই ২৫০ টিরও বেশি SU-30MKI যুদ্ধবিমান রয়েছে, যা ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে হওয়া প্রতিরক্ষা চুক্তির অধীনে হিন্দুস্তান অ্যারোনॉटিক্স লিমিটেড (HAL) দ্বারা ভারতে একত্রিত এবং তৈরি করা হয়েছে। এখন যখন রাশিয়া SU-57M এর মতো উন্নত AI-সজ্জিত জেট তৈরি করছে, তখন ভবিষ্যতে ভারতও এই প্রযুক্তি থেকে लाभ পেতে পারে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যদি এই প্রযুক্তি অর্জন করে তবে তার বিমান বাহিনীর ক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।