দত্তক নেওয়া শিশুদের বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছতে সময় লেগে যাচ্ছে ৩-৪ বছর, প্রক্রিয়া সহজ করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

 ‘সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটি’-র অধীনে একটি সন্তানকে দত্তক নেওয়ার জন্য ৩ থেকে ৪ বছর সময় লেগে যায়, অথচ লক্ষ লক্ষ শিশু অপেক্ষায় থাকে কখন কেউ তাদের দত্তক নিয়ে ঘরে নিয়ে যাবেন। 

Sahely Sen | Published : Aug 27, 2022 10:25 AM IST

সমাজের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে অনেক অভিভাবকই আইনি প্রক্রিয়ায় দত্তক নেওয়ার উপরেই নির্ভর করেন। তবে ভারতে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। আবেদন করার পর বহু নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সেগুলি বিচার করার পর তবেই খাতায়-কলমে বাবা-মা হওয়া যায়।

সম্প্রতি ভারতের শিশু দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছে একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। শুক্রবার আদালত জোর দিয়ে বলেছে, ভারতে শিশু দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়াটি আরও সহজ করা দরকার। ‘সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটি’-র অধীনে একটি সন্তানকে দত্তক নেওয়ার জন্য ৩ থেকে ৪ বছর সময় লেগে যায়, অথচ লক্ষ লক্ষ শিশু অপেক্ষায় থাকে কখন কেউ তাদের দত্তক নিয়ে ঘরে নিয়ে যাবেন। সরকারি আইনজীবী এই বিষয় বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছে। সেই আবেদনটি বিবেচনা করার জন্য ৬ সপ্তাহ সময় চেয়েছে সরকার।

সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, ‘‘ভারতে সরকার দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়াটি ভীষণ দীর্ঘ। ‘সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটি’ বছরে ৪ হাজার শিশুর দত্তক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। বর্তমানে ভারতে প্রায় ৩ কোটি অনাথ শিশু আছে। শিশু দত্তক প্রক্রিয়াটি যত দ্রুত সম্ভব সহজ করতে হবে, এই প্রক্রিয়ায় এত সময় নিলে চলবে না।’’ 

আগে দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়াটি ছিল আদালতের আওতাধীন।  কিন্তু ‘জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট’ সংশোধন করে দত্তকের প্রক্রিয়াটি জেলা প্রশাসনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। শিশুকে কোনও পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার আগে কঠোর ভাবে বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া আছে। আর্থিক ভাবে কতটা সচ্ছল সেই পরিবার, সে দিকটিও জোর দিয়ে খতিয়ে দেখা হয়। যাঁরা দত্তক নিচ্ছেন, তাঁদের শংসাপত্রগুলি বৈধ কি না, তা-ও খুঁটিয়ে দেখার কথা। কেন্দ্র সরকারের দাবি, এই সব বিষয়ে নিশ্চিত করতেই অনেকটা সময় চলে যাচ্ছে। 

এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে অক্টোবর মাসে। মানবিক গুরুত্ব ছাড়াও, সমাজের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থেই দত্তক নেওয়া যে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এবিষয়ে কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্ত কী হয়, তা জানার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে সারা দেশ।  


আরও পড়ুন-
২৯টি মোবাইলের একটিতেও মিলল না পেগাসাস, রাহুল গান্ধীকে টুইটারে ধারাল আক্রমণ বিজেপির
শ্বাসকষ্ট অর্শ ছাড়াও অনুব্রতর মেডিক্যাল রিপোর্টে বিবিধ জটিল সমস্যা, ওজন ছাড়িয়েছে ১০০ কেজি!
‘আমি বাড়িতেই আছি’ বোঝালেন মানিক, ‘এর পেছনে কী রহস্য!’ বুঝছেন না দিলীপ ঘোষ

Read more Articles on
Share this article
click me!