সংক্ষিপ্ত

শ্বাসকষ্টের সমস্যা, অর্শ, রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন অনুব্রত মণ্ডল। খুব একটা বেশি নয় হৃদ্‌স্পন্দনের হারও।

গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। নিজাম প্যালেস থেকে আপাতত তাঁর ঠিকানা জেল হেফাজত। সেখানে তাঁকে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে আপাতত ‘আইসোলেশন’ কক্ষে রাখা হচ্ছে না তাঁকে। সংশোধনাগার চত্বরে ৯টি শয্যার একটি হাসপাতাল কক্ষে আপাতত রয়েছেন তিনি। 

২৫ অগাস্ট, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কেষ্ট মণ্ডলকে। সেখানেই তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হয়। হাসপাতালের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা, অর্শ, রক্তচাপের সমস্যা ছাড়াও ঘুমের সময়ে অক্সিজেন কম হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যা রয়েছে বীরভূমের তৃণমূল নেতার। সূত্রের খবর, হাসপাতালে ইসিজি, রক্তচাপের পরীক্ষা ও রক্তে শর্করা পরিমাপের মতো বেশ কিছু পরীক্ষাও করানো হয়েছে অনুব্রতর।

অনুব্রতর ওজন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৯.৯ কিলোগ্রাম। তবে, গত কয়েকদিনে সিবিআই হেফাজতে থেকে তাঁর ওজন ৩ কেজি কমেছে বলে সূত্রের খবর। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ছিল প্রায় ৯৮ শতাংশ। খুব একটা বেশি নেই হৃদস্পন্দনের হারও। ‘সিবিজি’ বা রক্তে শর্করা মাপার পরীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি ডেসিলিটার রক্তে শর্করার মাত্রা ছিল ১২৭ মিলিগ্রাম। রক্তচাপ ছিল ১৪০/৮০, যা বেশির দিকে হলেও খুব একটা দুশ্চিন্তার নয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে অনেকটাই বেশি রয়েছে ‘বডি মাস ইনডেক্স’ অর্থাৎ তাঁর উচ্চতা অনুযায়ী শরীরের অতিস্থূলতা। তবে, হাসপাতালের চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী, স্থূলতার সমস্যা থাকলেও, আপাতত জরুরি ভিত্তিতে কোনও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গত, ওজন নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন আর এক গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তাঁর ওজন প্রায় ১১১ কিলোগ্রাম বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

বুধবার, ২৪ অগাস্ট আদালতে অনুব্রতকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলে প্রয়োজনীয় ওষুধ, ইসিজি মেশিন, অক্সিজেন সিলিন্ডারের মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী এবং শ্বাসকষ্ট প্রশমনের যন্ত্র নিয়ে যাওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়। প্রতি ৪৮ ঘণ্টায় অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। 

আরও পড়ুন-
বাংলায় স্কুল শিক্ষকদের মতো কলেজের অধ্যক্ষ বদলির জন্যও চালু হচ্ছে অনলাইন পোর্টাল
রাজীব গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে টুইটারে তাঁর পাইলট লাইসেন্সের ছবি শেয়ার করলেন শশী থারুর
মোদী সরকার কখনই গুপ্তচর নিয়োগের জন্য যোগাযোগ করেনি, সংসদের বিশেষ প্যানেলকে জানাল টুইটার