ছাগল কার - এই সমস্যা সমাধানে শাহরুখ খান আর সঞ্জয় খান গেলেন থানায়। বুধবারের পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু এখনও সমস্যা সমাধান হয়নি।
ছাগল কার? এই সমস্যার সমাধান করে দিতে হবে পুলিশ। দুই তরুণ তাই ছাগল নিয়ে ছুটেছিলেন থানায়। তবে বিবাদ মিমাংসা তো দূরের কথায় কেস ক্রমশই নাকি জটিল হচ্ছে। যা নিয়ে রীতিমত কালঘাম ছুটেছে মধ্যপ্রদেশের রেওয়া থানার পুলিশের। শুধু সমস্যা সমাধান নয়, থানায় রাখা ছাগকে খাওয়াতেও নাকানিচোবানি খাচ্ছে দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ কর্মীরা।
রেওয়া এলাকার বাসিন্দা দুই তরুণ- একজনের বনাম সঞ্জয় খান অন্যজন শাহরুখ খান। বুধবার বখরি ইদের সময় বছর ২০র দুই তরুণ থানায় দ্বারস্থ হয় ছাগল সমস্যা নিয়ে। দুজনেই দাবি করে ছাগলটি তার বলে। সাদা আর বাদামী রঙের ছাগলকে নিয়েই থানায় গিয়েছিল দুই তরুম। সঞ্জয় জানায়, তিনি ছাগলের প্রকৃত মালিক। লালন-পালন করেছেন। কিন্তু ৬ মাস আগেই ছাগলটি নিখোঁজ হয়ে যায়। অন্যদিকে শাহরুখের দাবি তিনি বখরি ইদে কোরবানি দেওয়ার জন্য ছাগলটি কিনেছেন ১৫ হাজার টাকা দিয়ে। সেই অর্থে ছাগলের প্রকৃত মালিক তিনি।
যাইহোক পুলিশ দুই ব্যক্তিকে ছাগল থানায় জমা রেখে উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে আসতে বলে। কিন্তু তারা যখন থানায় প্রমান নিয়ে আসে তখনই শুরু হয় প্রকৃত সমস্যা। সঞ্জয় আর শাখরুখ দুজনেই ছাগলের সঙ্গে তাদের একটি ছবি নিয়ে এসেছিল। ছবির ছাগল আর আসল ছাগলের মধ্যে তেমন কোনও পার্থক্য ছিল না। তাতেই মামলাটি আরও জটিল করে তুলেছে বলে দাবি করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। পুলিশ অফিসার বলে থানায় ছাগল প্রথম রাখা হলেও পরবর্তীকালে তা সম্ভব হয়নি। কারণ ছাগলের চিৎকারে কাজকর্ম লাটে উঠেছে। অন্যদিকে ছাগলে খেতে দেওয়াও ছিল অসম্ভব। তাই সমস্যা সমাধানে ছাগল আপাতত রাখা হয়েছে সঞ্জেয়ের হেফাজতে। কারণ সে থানায় গিয়ে আগেই দাবি করেছিল তার ছাগল- সেই লালন-পালন করেছে। যাইহোক এক পুলিশ কর্মী জানিয়েছেন, ছাগলের যাতে কোনও রকম ক্ষতি না হয় তারজন্য সঞ্জয়ের থেকে কাগজে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ কর্মী আরও জানিয়েছেন, ছাগল কখনই লেখালিখি করে বিক্রি করা হয় না। তাই শাহরুখের কাছেও ছাগল কেনার কোনও প্রমাণ নেই। তাই সমস্যা সমাধানে স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
বুধবার বখরি ইদের দিন থেকে এখনও ছাগলের মালিককে খুঁজে বার করতে পারেনি মধ্যপ্রদেশের পুলিশ। কিন্তু দুই তরুণ ক্রমাগত পুলিশের ওপর চাপ তৈরি করে যাচ্ছে - তা অবশ্য প্রকারান্তে স্বীকার করে নিয়েছেন রেওয়া থাকার কর্তব্যরত কর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ
সায়নীর ৮০ লক্ষ টাকা মূল্যের বিশাল ফ্ল্যাট ইডির আতশকাচের তলায়, তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস তৃণমূল নেত্রীর
কোচবিহারে নিহত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, কথা বলেন তৃণমূল নেতার স্ত্রীর সঙ্গেও
১ কোটি টাকা দিয়ে ভেড়া কিনতে লম্বা লাইন, মেষপালক ফেরাচ্ছেন ক্রেতাদের- কারণ জানলে অবাক হবেন আপনিও