রাজ্যের করোনার সংক্রমণের গতি এখন নিম্নমুখী। এই পরিস্থিতিতেও ১৬ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিধেষের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এদিকে বাস, অটো, টোটো চলাচলের উপর ছাড় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সংক্রমণ রুখতে এখনও ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবা চালুর অনুমতি দেননি তিনি। এর জেরে তাঁর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে বিজেপি। আর এবার লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।
আরও পড়ুন- 'টিকার ঘাটতি', মমতা'র অভিযোগের পিছনে অন্য উদ্দেশ্য - তথ্য তুলে জবাব হর্ষ বর্ধনের
টুইটারে সেই চিঠি পোস্ট করেন সাংসদ। চিঠিতে তিনি লেখেন, "গত এপ্রিলের শেষ থেকে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে রাজ্যে লকডাউনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে লোকাল ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু, গত ২ সপ্তাহ ধরে লকডাউন পরিস্থিতি অনেকটাই শিথিল করা হয়েছে। কর্মক্ষেত্রগুলি খুলে গিয়েছে। এমনটি রেস্তরাঁ, জিম, সেলুনও খুলে গিয়েছে। বাস পরিষেবাকেও খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে লোকাল ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবার ক্ষেত্রে এখনও বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়নি। এর ফলে যাঁরা নিজেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ট্রেনকে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন, তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকার জন্য বাসে প্রচুর ভিড় হচ্ছে। এভাবে যদি বাসে ভিড় বাড়তে থাকে তাহলে তার থেকেও সংক্রমণের মাত্রা বাড়তে পারে। তাই বাংলার মানুষের বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা করে পূর্ব রেল, দক্ষিণ–পূর্ব রেল ও মেট্রো পরিষেবা আবার স্বাভাবিক করা হোক। সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এই পরিষেবাকে এবার সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হোক।"
এরপর গোয়ালকে চিঠিতে স্বপন লেখেন, "বাংলার সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য রেলমন্ত্রী হিসেবে এবং ব্যক্তিগত ভাবে আশা করি আপনি উদ্যোগী হবেন। আমি বিশ্বাস করি, বাংলার মানুষ আপনার পদক্ষেপের আশায় রয়েছেন।" এই চিঠি পোস্ট করে টুইটে তিনি লেখেন, "রাজ্যে এখন যে লকডাউন চলছে তা খামখেয়ালি।"
আরও পড়ুন- শিকেয় উঠেছে যাত্রীদের ৫০ শতাংশের নিয়ম, তিল ধারণের জায়গা নেই বাসে
এর আগে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও লোকাল ট্রেন খোলার দাবিতে সরব হয়েছিলেন। আর এবার সরব হলেন স্বপন দাশগুপ্ত। উল্লেখ্য, আজ থেকেই রাজ্যে বাস পরিষেবা চালু হয়েছে। কিন্তু, রাস্তায় বেশি সংখ্যক বাস না থাকায় সমস্যায় পড়েন নিত্য যাত্রীরা। সকাল থেকেই বাসগুলিতে ঠাসাঠাসি ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। তিল ধারণের জায়গা ছিল না সেখানে।