সংক্ষিপ্ত

একদিন আগেই টিকার ঘাটতি নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন মমতা

এদিন নাম না করে তার জবাব দিলেন হর্ষ বর্ধন

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, ঘাটতির জন্য দায়ী রাজ্য

অভিযোগের পিছনে আছে অন্য উদ্দেশ্য

 

চিকিৎসক দিবসের দিনই ভারতে করোনার টিকাকরণ নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার হর্ষ বর্ধন। বৃহস্পতিবার, তিনি বলেন, সর্বশেষতম অর্থাৎ, কেন্দ্র-নিয়ন্ত্রিত টিকাকরণ অভিযান সম্পর্কে বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে অনেক রাজনীতিবিদরা 'দায়িত্বহীন বিবৃতি' দিচ্ছেন। তাঁর দাবি, ভারত সরকার থেকে বিনামূল্যে ৭৫ শতাংশ টিকা সরবরাহ করার পর টিকা দেওয়ার গতি অনেক বেড়েছে। জুন মাসে মোট সাড়ে এগারো কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে।  

বিভিন্ন রাজ্য থেকে কেন্দ্রের টিকা সরবরাহ নিয়ে যেসব সমালোচনা হয়েছে,সেইসব প্রত্যাখ্যান করে চিকিৎসক দিবসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র টিকা সরবরাহ করার পরও যদি কোনও রাজ্য়ে সঙ্কট দেখা দেয়, তবে সেটা সেই রাজ্যেরই দোষ। তাদের আরও ভালভাবে টিকাদানের পরিকল্পনা করা উচিত। প্রশাসনিক দিকে মনোনিবেশ করা দরকার। রাজ্যের ভিতরে টিকাদানের পরিকল্পনা ও রসদ যোগান রাজ্যগুলির দায়িত্ব। টুইট করে তিনি বিভিন্ন রাজ্যের বিরোধী নেতাদের 'মহামারির মধ্যে রাজনীতি করার নির্লজ্জ আকাঙ্ক্ষা থেকে বিরত থাকা'র অনুরোধ জানান। আতঙ্ক সৃষ্টি না করে টিকাদানের পরিকল্পনা করায় মন দেওয়ার সুপারিশ করেছে।

বুধবারই, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ঘাটতি নিয়ে অভিযোগ করেছে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছিলেন, বাংলার থেকে ছোট রাজ্যও এই রাজ্যের তুলনায় বেশি টিকা পেয়েছে। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, ভ্যাকসিনের ঘাটতি নিয়ে অভিযোগকারীদের মধ্যে রয়েছে দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এমনকী নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাটও। ওড়িশা সরকারও স্টক কম থাকার কারণে আপাতত টিকা কেন্দ্রগুলি বন্ধ রেখেছে। আসলে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ আসার আগেই সব রাজ্য যত বেশি সংখ্যক টিকা দিয়ে ফেলতে চাইছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জুলাই মাসে বেসরকারি হাসপাতালগুলি বাদ দিয়েও ১২ কোটি ডোজ সরবরাহ করা হবে।