মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রেটার নয়ডায় এক রেস্তোরাঁ মালিককে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সুইগির এক ডেলিভারি বয়ের বিরুদ্ধে। বুধবার, একপ্রস্থ গুলির লড়াইয়ের পর দিল্লি পুলিশ জানালো সে খুন করেনি।
মঙ্গলবার গভীর রাতে দিল্লির কাছে গ্রেটার নয়ডায় এক রেস্তোরাঁ মালিককে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছিল অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থা 'সুইগি'র এক ডেলিভারি এজেন্টের বিরুদ্ধে। খাবার দিতে দেরি হওয়া নিয়ে ঝামেলা থেকেই এই ঘটনা, এমনটাই জানিয়েছিল পুলিশ। বুধবার, রীতিমতো একপ্রস্থ গুলির লড়াইয়ের পর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। তবে, তারা জানিয়েছে, এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত নয় ওই সুইগি ডেলিভারি বয়।
অভিযোগ কী ছিল?
নিহত ওই রেস্তোরাঁ মালিকের নাম সুনীল আগরওয়াল। তিনি গ্রেটার নয়ডায় মিত্রা সোশাইটি নামে একটি আবাসিক কমপ্লেক্সের ভিতরে জামজাম নামে একটি রেস্তোরাঁ চালাতেন। মঙ্গলবার রাত সোয়া বারোটা নাগাদ তার রেস্তোরাঁয় এসেছিল ওই ডেলিভারি এজেন্ট। অর্ডার ছিল চিকেন বিরিয়ানি এবং পুরি-সবজি। বিরিয়ানি তৈরি থাকলেও, পুরি-সবজি হতে একটু দেরি হবে বলে জানিয়েছিল রেস্তোরাঁর এক কর্মী। তাঁর সঙ্গে ওই ডেলিভারি এজেন্টের বাদানুবাদ শুরু হয়েছিল। এরপর সুনীল আগরওয়াল পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে, ওই ডেলিভারি এজেন্টই তাকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছিল।
এদিন কী ঘটেছে?
এদিন দিল্লি পুলিশ রীতিমতো হিন্দি সিনেমার কায়দায় তাড়া করে ধরে তিনজন সন্দেহভাজনকে। শুধু তাই নয়, ওই তিনজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোঁড়ে। যার জবাব দেয় পুলিশ। জানা গিয়েছে মূল অভিযুক্তের নাম বিকাশ, তার পায়ে পুলিশের গুলি লেগেছে। বর্তমানে হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি দুিজন হল - দেবেন্দর এবং সুনীল। যে পিস্তলটি দিয়ে সুনীল আগরওয়ালকে হত্যা করা হয়েছে, সেটি-সহ আরও একটি পিস্তল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এই তিনজনের কাছ থেকে।
চরম আসক্তি - অনলাইনে 'নগ্ন ছবি' পোস্ট করা শুরু করল কিশোরী, হার্ট অ্যাটাক বাবা-মা'এর, দেখুন
আরও পড়ুন - স্ত্রীর গোপনাঙ্গ সেলাই করে দিল হাতুড়ে ডাক্তার, ভারতে বাড়ছে সন্দেহবাতিক স্বামীর সংখ্যা
ঘটনাটা কী ঘটেছিল?
পুলিশ অফিসার, বিশাল পান্ডে জানিয়েছেন, প্রথমে সুইগির ডেলিভারি বয়ই এই হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হলেও, তদন্ত করতে নেমে তাঁরা গ্রেফতার হওয়া তিনজনের কথা জানতে পারেন। মদ্যপ অবস্থায়, জামজাম রেস্তোরাঁর বাইরেই তারা একটি বাইক নিয়ে দাঁড়িয়েছিল, বলে জানিয়েছেন তিনি। সুইগির ডেলিভারি বয়ের সঙ্গে রেস্তোরাঁর কর্মীদের ঝামেলা মেটাতে যখন এসেছিলেন সুনীল আগরওয়াল, সেই সময়ই তারা এগিয়ে এসে আচমকা সুনীলের মাথা লক্ষ্য করা গুলি চালিয়ে দেয়।
এরপর কী?
পুলিশ জানিয়েছে, এই বিষয়ে তারা আরও তদন্ত করতে চায়। গ্রেফতার হওয়া তিনজনকে আরও জেরা করা প্রয়োজন বলে মনে করছে তারা। স্রেফ মদের নেশায় হত্যা করা হয়েছে সুনীল আগরওযালকে, নাকি এই তিনজনের সঙ্গে তার পুরোনো কোনও শত্রুতা ছিল, নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও ঘটনা রয়েছে - সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছে দিল্লি পুলিশ।