আফগানিস্তান দখলের পরেও খোঁজ নেই তালিবান সুপ্রিম লিডার হায়বাতুল্লাহ আখুনজাদার। ভারতীয় গোয়েন্দাদের মতে পাকিস্তানের নিরাপদয়ে রয়েছে তালিবান প্রধান।
তালিবানদের সুপ্রিম কমান্ডার হায়বাতুল্লাহ আখুনজাদা কোথায়? রবিবার তালিবানরা কাবুল দখলেও পরেও এখনও পর্যন্ত দলের সুপ্রিম কমান্ডার সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি তালিবানরা। তবে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, তার পর থেকেই তন্ন তন্ন করে তালিবানদের সুপ্রিম নেতার খোঁজ খবর শুরু করেছে। সূত্রের খবর তালিবান নেতা সম্ভবত পাকিস্তানে রেয়েছে। আখুনজাদা সম্ভবত পাক সেনা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে।আখুন্দাজাদা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে বিদেশে কাজ করা গোয়েন্দাদের সোর্সগুলিকে ইতিমধ্যেই সক্রিয় করা হয়েছে।
গত ৬ মাস তালিবানদের শীর্ষ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। মে মাসে ইদ উপলক্ষ্যে রমজান শেষ হওয়ার প্রথম তিনি একটি অডিও রেকর্ড পাঠিয়েছিলেন। সেখানে শুভেচ্ছা ছাড়া আর তেমন কোনও মন্তব্য করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করার পরেই লস্কর-ই-তইবা বা জইশ-ই-মহম্মদের মত জোঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা উৎসাহা হয়ে উঠেছে। তারা তালিবানদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছে। তালিবানদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে। পাকিস্তান কীভাবে এই সমস্যাটির মোকাবিলা করে তা দেখতে আগ্রহী ভারত।
Viral Video: জাতীয় পাতাকা রাখে তালিবানদের 'কুনজরে' আফগান ব্যক্তি, পিছমোড়া করে বেঁধে শাস্তি
'সন্ত্রাসরাজ সাময়িক আধিপত্য কায়েম করতে পারে', সোমনাথের অনুষ্ঠানে কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রী মোদীর
একটি সূত্র বলছে তালিবানদের রাজনৈতিক কার্যালয় কাতারের দোহা। সেখান থেকে ইতিমধ্যেই অনেক তালিবান নেতা আফগানিস্তানে ফিরে এসেছেন। তালিবানদের ডেপুটি লিডার মোল্লা আব্দুল ঘানি বরাদরও আফগানিস্তানে ফিরে এসেছেন বলে সূত্রের খবর। তবে এখনও কতজন তালিবান শীর্ষ নেতা আফগানিস্তানে রয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে আখুনজাদা যে আফগানিস্তান বা কাতারে নেই তা প্রায় একপ্রকার নিশ্চিত। কিন্তু কেন পাকিস্তান সেনা বাহিনীকে তালিবান সুপ্রিম নেতাকে হেফাজতে নিয়েছে? গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন, ওসামা বিন লাদেনের মত ঘটনা ঘটুক- তা চায়নি পাকিস্তান বা তালিবানরা। তাই আগে থেকেই তালিবান সুপ্রিম নেতাকে নিরাপত্তা দিতে পাকিস্তান সেনা বাহিনী এগিয়ে এসেছে। লোকচক্ষুর অন্তরালে লুকিয়ে রেকেছে তাকে।
আফগান সেনা থেকে জঙ্গি নেতা, সাত তালিবান নেতার অন্যতম স্টানিকজাইয়ের ভারতীয় যোগ
পাকিস্তান যদি সত্যি এই জাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে তাহলে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে যাবে পাক প্রশাসনের সঙ্গে জঙ্গি যোগের তত্ত্ব। ভারত দীর্ঘ দিন ধরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল। সম্প্রতি একই অভিযোগ তুলেছিল আফগানিস্তান। তারা বলেছিল তালিবানদের প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছে পাকিস্তানের সেনা বাহিনী।সরকারেরও হাত রয়েছে। কিন্তু সেই সময় পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গোটা বিষয়টিকেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন।