২৪ থেকে ৪০ ঘন্টায় দূর হবে করোনাভাইরাস, মহার্ঘ্য ওষুধ তৈরি ভারতীয় ডাক্তারের হাতে

চিনে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই বিষয়ে বিশ্বব্যপী জরুরি অবস্থা দারি করেছে।

এখনও অবধি এই রোগের কোনও প্রতিষেধক বা ওষুধ পাওয়া যায়নি।

এরই মধ্যে তাঁর কাছে ওষুধ আছে বলে দাবি এক ভারতীয় ডাক্তারের।  

 

amartya lahiri | Published : Jan 31, 2020 10:04 AM IST / Updated: Jan 31 2020, 03:43 PM IST

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে যত দিন যাচ্ছে ততই বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এর মধ্য়েই তামিলনাড়ুর সিদ্ধ ও আয়ুর্বেদিক মেডিসিন-এর এক ডাক্তার দাবি করলেন ভাইরাসটির একটি 'ভেষজ' নিরাময় তিনি খুঁজে পেয়েছেন। এখনও অবধি বিশ্বে কোনও বিজ্ঞানীই এই রোগের কোন নিরাময়ের সন্ধান পাননি। একটি ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে, তবে সেটিও বাজারে আসতে অন্তত আরও একটা বছর তো লাগবেই।

সকলে ব্যর্থ হলেও চেন্নাইয়ের রত্ন সিদ্ধ হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার থানিকাসালাম ভেনি এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন তিনি সিদ্ধ ও আয়ুর্বেদিক ওষুধের তাঁর ২৫ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বি্ভিন্ন ভেষজ উপাদানের নির্যাস থেকে একটি ওষুধ তৈরি করেছেন, যা 'যে কোনও ধরণের ভাইরাঘটিত জ্বরের নিরাময় করতে পারে'। তাই এই ওষুধ ২৪ থেকে ৪০ ঘন্টার মধ্যে করোনাভাইরাসজনিত সংক্রমণের নিরাময়ও করতে পারবে বলে দাবি ওই ডাক্তারের।

আরও পড়ুন - 'নাকে তিলের তেল' দিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ, উপদেশ দিয়ে হাসির খোরাক আয়ুষ মন্ত্রক

আরও পড়ুন - করোনাভাইরাস মহামারী 'আল্লা-র সাজা', চাঞ্চল্যকর দাবি মুসলিম ধর্মগুরুর

তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ওষুধে ডেঙ্গু ভাইরাসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্লেটলেটের মাত্রা কমে যাওয়া, যকৃতের সমস্যা, ইমিউনিটি কমে যাওয়া এবং শ্বেত রক্তকণিকা বা ডাব্লুবিসি-র ঘাটতি-সহ সমস্ত সমস্যা ২৪ থেকে ৪০ ঘন্টার মধ্যে সেড়ে যায়। করোনাভাইরাস ঘটিত সংক্রমণের ক্ষেত্রেও তাই হবে বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি যদি চিন-ও চায়, তাহলে তিনি তাঁর তৈরি ওযুধ পাঠাতে ইচ্ছুক। এর আগে কেন্দ্রীয় আয়ুষ মন্ত্রক আয়ুর্বেদিক, হোমিওপাথি ও ইউনানি ওষুধের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের পরামর্শ দিয়েছিল।

আরও পড়ুন - করোনার কবলে ৯৬৯২, বিশ্ব জুড়ে জরুরী অবস্থা জারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

আরও দেখুন - করোনাভাইরাস রোধে মোদী সরকারের দাওয়াই, খোরাক হয়ে উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায়

তামিলনাড়ুতে এখনও পর্যন্ত কোনও করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। তবে একদিন আগেই তামিলনাড়ুর প্রতিবেশী রাজ্য কেরলে ভারতের একমাত্র করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে বিভিন্ন রাজ্যেই এই মারণরোগে আক্রান্ত বলে সন্দেহের তালিকায় থাকা মানুষের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। আর চিনে এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃতের সংখ্য়া ২১৩, আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬৯২। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা 'হু'-ও এদিন করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য  বিশ্বব্যপী জরুরী অবস্থা জারি করেছে।

 

Share this article
click me!