ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে এই দ্বীপ। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দ্বীপ ইস্যুতে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন।
তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। এক দ্বিপাক্ষিক আইন মেনে কাচাথিভু দ্বীপটি শ্রীলঙ্কাকে দিয়ে দিয়েছিল ভারত। ১৯৮৩ সালে গহযুদ্ধ বাধে শ্রীলঙ্কায়। তখন থেকেই তামিল জেলেদের মাথাব্যথার কারণ এই দ্বীপ। তামিল জেলেরা অভিযোগ করেছেন যে, এই দ্বীপের আশপাশে গেলেও ভারতীয় মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার করে জেলে পুরে দেয়। মাছ ধরার জাল ছিঁড়ে দেয়। ব্যাপক মারধর করে। ফলত করুণ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে ভারতীয় জেলেরা।
সম্প্রতি, ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে এই দ্বীপ। কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই দ্বীপ ইস্যুতে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছেন। দ্বীপটি যখন হস্তান্তর করা হয়েছিল, সেই সময় শ্রীলঙ্কায় ক্ষমতায় ছিলেন সিরিমাভো বন্দরনায়েকে। এই হস্তান্তর সেতুসমুদ্রম উপকূলীয় অঞ্চলের সামুদ্রিক সীমারেখাকে চিহ্নিত করেছিল। কিন্তু, তারপর থেকে এই দ্বীপ নিয়ে বিবাদ ক্রমশ বেড়েছে বই কমেনি। শ্রীলঙ্কার আর্থিক অবস্থা এখন চরমে। ভারত সরকার শ্রীলঙ্কাকে ব্যাপকহারে অর্থসাহায্য করেছে। তার বদলে শ্রীলঙ্কা এই দ্বীপটি ভারতকে লিজ দিতে পারে বলেই মনে করছেন মৎস্যজীবীদের একাংশ।
একসময় রামনাদ রাজত্বের অংশ ছিল কাচাথিভু। ১৬০৫ সালে মাদুরাইয়ের নায়ক রাজবংশ তৈরি করেছিল। এটি ৬৯টি উপকূলীয় গ্রাম এবং কাচাথিভু-সহ ১১টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। ১৬২২ এবং ১৬৩৬ সালের মধ্যে রামানাথপুরমের প্রধান কুথান সেতুপতির জারি করা একটি তামার ফলক, কাচাথিভু-সহ বর্তমান শ্রীলঙ্কার থালাইমান্নার পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে ভারতীয় মালিকানার সাক্ষ্য দেয়। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন বিদেশসচিব ডব্লিউ টি জয়াসিংহে জানিয়েছেন, ১৮৪৫ সালে সিলনের গভর্নর কলিন ক্যাম্পবেল জাফনাপত্তনমের সীমারেখা নির্দিষ্ট করেছিল। সেই সীমানায় কাচাথিভুর কোনও উল্লেখ ছিল না। যা থেকে ফের প্রমাণ হয় যে দ্বীপটির মালিকানা ঐতিহ্যগতভাবে ভারতেরই ছিল। পরবর্তী সময়েরও নানা নথি থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে দ্বীপটি ভারতেরই ছিল। তাই ভারতের এই দ্বীপে ফের অধিকার ফিরে আসতে পারে ভারতের।