শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর গুজরাট সফরের দ্বিতীয় দিন। এরই মধ্যে এদিন তিনি গান্ধীনগরে জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করেছেন। এই অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
চার রাজ্যে বড় জয়ের পর গুজরাটে দুদিনের সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর গুজরাট সফরের দ্বিতীয় দিন। এরই মধ্যে এদিন তিনি গান্ধীনগরে জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করেছেন। এই অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। সেখানেই ভাষণ দিতে গিয়ে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে একগুচ্ছ সম্ভাবনার কথা শোনাতে দেখা গেল তাঁকে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধনী ভাষণে মোদী বলেন, “আজ গান্ধীনগর শিক্ষার জন্য একটি প্রাণবন্ত জায়গা হয়ে উঠছে। এখানে বর্তমানে অনেকগুলি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যা কার্যত বিশ্বমানের। এমনকী এখনারে ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি পড়াশোনার আঙিনায় এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। যা সারা বিশ্বের কোথাও নেই।”
এদিনের ভাষণে দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উন্নতির উপর বারেবারে জোর দিতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। প্রযুক্তির ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তি এখন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় একটি সম্ভাবনাময় অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীতে থাকার জন্য শুধু শারীরিক প্রশিক্ষণই যথেষ্ট নয়, এখন বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরাও শারীরিকভাবে সুস্থ না হওয়া সত্ত্বেও নিরাপত্তা খাতে অবদান রাখতে পারেন।’ একইসঙ্গে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জনগণকে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োগের ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রয়োজন ছিল। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা পিছিয়ে ছিলাম। পুলিশ সম্পর্কে অনেকের মনেই ভিন্ন ভিন্ন ধারণা রয়েছে। অনেকই পুলিশের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে চান। কবে সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রেও এটি সত্য নয়। পুলিশকেও আগামীতে এমনভাবে প্রশিক্ষিত করা উচিত যাতে তাদের জনগণের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়।’
আরও পড়ুন- যোগী ঝড়ে ধরাশায়ী অখিলেশ-মায়াবতী, উত্তরপ্রদেশে সর্ব বৃহৎ দল হিসাবে ফের আত্মপ্রকাশ বিজেপির
একইসঙ্গে দেশে প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটিতে আসাটা আমার জন্য বিশেষ আনন্দের উপলক্ষ। সারাদেশে যারা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে তাদের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় নতুন সুযোগ তৈরি করবে। দেশের অগ্রগতির রাস্তাকে আরও সুগম করতেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম দেওয়া হয়েছে। ডিওয়াইএসপি, পিএসআই এবং কনস্টেবল হতে ইচ্ছুক যুবকদের সেই স্তরের পেশাদার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এখানে। কারণ, বর্তমান সময়ে ওয়েল ট্রেন্ড ম্যান পাওয়ার দেশের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। আর সেটাই খেয়াল রাখা হবে এখানে।”