জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, সেনাবাহিনীর ২১ আরআর ব্যাটালিয়ন এবং ৪৭ আরআর ব্যাটালিয়ন যৌথভাবে এই অভিযান চালিয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনী বহুবার তথ্য পেয়েছিল যে কুপওয়ারার চিরকোট এলাকার বাসিন্দা বিলাল আহমেদ দার এনজিওর মাধ্যমে জঙ্গিদের নিয়োগ করে
জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনী কুপওয়ারায় জঙ্গিদের একটি মডিউলকে পাকরাও করতে সমর্থ হয়েছে। এই মডিউল সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য একটি নতুন কৌশল শুরু করেছিল। জঙ্গিরা একটি এনজিও গঠন করেছিল। এরপর গ্রামে-গঞ্জে এই এনজিওর অনুষ্ঠান আয়োজন করত জঙ্গিরা। এ সময় তারা দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতেন, তবে এনজিও-র কাজের নাম করে অর্থ সংগ্রহ চলত। শুধু তাই নয়, এই জঙ্গিরা ভারতের বিরুদ্ধে মানুষকে ঠকিয়ে জঙ্গিও নিয়োগ করেছে। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়াড়ায় এই সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, সেনাবাহিনীর ২১ আরআর ব্যাটালিয়ন এবং ৪৭ আরআর ব্যাটালিয়ন যৌথভাবে এই অভিযান চালিয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা বাহিনী বহুবার তথ্য পেয়েছিল যে কুপওয়ারার চিরকোট এলাকার বাসিন্দা বিলাল আহমেদ দার এনজিওর মাধ্যমে জঙ্গিদের নিয়োগ করে এবং জঙ্গিকার্যকলাপে অর্থায়নও করে। এই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান শুরু করে। এ সময় বিলাল ধরা পড়ে। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি পিস্তল, দশটি ম্যাগাজিন, ৪৯টি গুলি, দুটি গ্রেনেড এবং একটি আইইডি।
গরিবদের সাহায্যের নামে তহবিল সংগ্রহ করা হত
সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতে সে জানায় যে সে আরও পাঁচজনের সাথে একটি জঙ্গি অর্থায়নের র্যাকেট চালায়। 'ইসলাহি ফালাহি রিলিফ ট্রাস্ট' নামের ভুয়ো এনজিওর নামে এ কাজ করা হয়। এই ভুয়ো এনজিওটি দরিদ্র পরিবারের জন্য তহবিল সংগ্রহের কাজ করার দাবি করে। এই এনজিও সক্রিয়ভাবে কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য তহবিল সংগ্রহের জন্য কাজ করে। এটি গ্রামে গ্রামে প্রোগ্রাম সংগঠিত করে এবং জঙ্গিদের নিয়োগের জন্য কাজ করে।
জঙ্গিদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার
বিলাল জিজ্ঞাসাবাদে তার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের নামও দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীকে। তাদের নাম ওয়াহিদ আহমেদ দার, জাভেদ আহমেদ নজর, মোশতাক আহমেদ নজর এবং বশির আহমেদ মীর। এরা সবাই জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দা। বিলালের ভাই জুবায়ের আহমেদ দারও এই পুরো মডিউলের অন্তর্ভুক্ত। এই জঙ্গি মডিউল চালাত পাকিস্তানের জঙ্গিরা। জম্মু ও কাশ্মীরে তার দলের নাম তেহরিক-ই-উল-মুজাহিদিন জম্মু কাশ্মীর (টিইউএমজেকে)। এই দলটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের নামে গ্রামে গ্রামে তহবিল সংগ্রহ করত। সন্ত্রাসীদের নিয়োগের জন্যও ব্যবহৃত হয়।
সেনা সূত্রে খবর এনজিওর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সন্ত্রাসে অর্থায়নের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। TUMJK-এর জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে NGO-এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৫ আগস্টে দেশবিরোধী পোস্টার লাগানোর অভিযোগও রয়েছে এই দলটির বিরুদ্ধে। বিলাল ১৪ আগস্ট মারকাজি জামিয়া মসজিদের ভিতরে পাকিস্তানের পতাকাও উত্তোলন করেছিল। পাকিস্তানে বসে থাকা হ্যান্ডলারদের নির্দেশেই সে এ কাজ করে। বিলাল ও তার সহযোগী জঙ্গিদের সাহায্য করে পাকিস্তানে বসে থাকা জঙ্গিরা। জঙ্গিদের নাম শাহ সাব, মঞ্জুর শাহ এবং জেনারেল আবদুল্লাহ। আবদুল্লাহর আসল নাম গোলাম রসুল শাহ। পাকিস্তানের দ্বিতীয় জঙ্গির নাম তারিক পীর। এ ছাড়া অনেক জঙ্গির নামও সামনে এসেছে।
মালদ্বীপে বিধ্বংসী আগুনের গ্রাসে ৯ ভারতীয়, আগুন নেভাতে লাগল ৪ ঘণ্টা
হিমাচলে প্রচারের শেষ দিনে কংগ্রেসের তুরুপের তাস সেই প্রিয়াঙ্কা, ৬৮ বিধানসভা একসঙ্গে ভোট প্রচার