অভিযোগটা উঠেছিল প্রথম থেকেই। এবার সেই নিয়ে তদন্তে নামল ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। সংস্থাটি খতিয়ে দেখবে, ভারতে কতটা সক্রিয় খালিস্তানপন্থীরা ও শিখ ফর জাস্টিস বা এসএফজে নামের সংস্থাটি। বিদেশ থেকে এউ দুই সংস্থা আর্থিক সাহায্য করছে কিনা? একটি সূত্র দাবি করছে, ব্রিটেন, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারত বিরোধী বিক্ষোভ আর প্রচারে খালিস্তানপন্থীদের হাত রয়েছে। আর সেই কারণে বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের করেছে এনআইএ। গতসপ্তাহে নথিভুক্ত মামলা অনুযায়ী ভারতে অবস্থিতি খালিস্তানপন্থীরা বেসরকারি সংস্থার বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে অর্থ সাহায্য পাচ্ছে।
এনআইএ সূত্রে খবর একটি এনজিও-র মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে অর্থ পাঠান হচ্ছে ভারতে। যার মূল উদ্দেশ্যই হল ভারত বিরোধী প্রচার পরিচালনা করা, খালিস্তানীদের সাহায্য করা ও ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ পরিচালনা করা। একটি সূত্র দাবি করছে, সরকারি ও বেসরকারি সম্পদের ক্ষতি করাও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর এইটি মূল উদ্দেশ্য। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এসএফজে ও খালিস্থানপন্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের মাধ্যমেও পৃথক রাষ্ট্র গঠন ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ পরিচালনা করার দিকে জোর দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেই কাজের জন্য় বেশ কয়েকজন তরুণকে নিয়োগ করা হয়েছে। আর এই কাজে পাকিস্তান তাদের সক্রিয় সাহায্য করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণেই ভারত সরকার এসএফজেকে নিষিদ্ধ ঘোষণার পরই বেশ কয়েকজনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।
শ্রীনগরে খাতা খুলল বিজেপি, জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনে এগিয়ে গুফকার জোট ...
দলাই লামাকে নিয়ে চিন-আমেরিকা টানাটানি শুরু, তিব্বত নিয়ে বিল মার্কিন কংগ্রেসে ...
তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর আমেরিকার বাসিন্দা গুরুপাবন্স সিং পান্নু, ব্রিটেনের বাসিন্দা পারমজিৎ সিং পাম্মাস ও কানাডার বাসিন্দা হরদীপ সিং নজ্জারের নাম রয়েছে অভিযুক্তদের তালিকায়। তিন জনই শিখ ফর জাস্টিস ব্যানারের অধীনে ভারত বিরোধী আন্দোলনের জন্য অর্থ সাহায্য করেছে বলে মনে করছে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ঠিকানাও প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকেই মনে করছে এনআইএ তদন্তেক জন্য অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। বিদেশেও যেতে পারে। গতবছরই এনআইএ-র আইন সংশোধন করা হয়েছিল। আর সেই জন্যই এনআইএ তদন্তের জন্য বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকছে না। একআগে কাবুলের গুরুদ্বারে জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছিল শিখ সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন। সেই ঘটনার তদন্তেও নেমেছিল এনআইএ।