পাকিস্তানের আমদানি করা এই পণ্যগুলির দাম এবার আকাশ ছোঁবে! বাঙালির রান্নাঘরের এই জিনিসগুলো আর কেনা যাবে?

রাত হলেই চোরের মতো অন্ধকারে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান (Pakistan)। এই পরিস্থিতিতে, দুই দেশের মধ্যে একেবারে তলানিতে ঠেকেছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য। পাকিস্তানের আমদানি করা এই পণ্যগুলির দাম এবার আকাশ ছোঁবে! বাঙালির রান্নাঘরের এই জিনিসগুলো আর কেনা যাবে?

ভারত সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই, পাকিস্তান থেকে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পরিস্থিতি যখন এমন, ঠিক সেই পর্বে ভারতীয় পণ্যের অভাবে একেবারে মাথায় হাত পড়েছে পশ্চিম দিকের ব্যবসায়ীদের।

একই সূত্র ধরে, পাকিস্তান থেকে আমদানি করা বেশ কিছু পণ্যের জন্য আংশিক হলেও সমস্যা দেখা দিয়েছে ভারতের বাজারেও!

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, পশ্চিম দিকের দেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যগুলির অভাব দেখা দিলে মধ্যবিত্তের হেঁসেলে টান পড়তে পারে!

সেই সাথেই পাকিস্তানে উৎপাদিত পণ্যগুলির দামও বাড়তে পারে হু হু করে! যদিও, ভারতের কাছে ইতিমধ্যেই সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতা পাকিস্তানের বিকল্প বাণিজ্য পথ খোলা রয়েছে।

পাকিস্তানের সাথে সংঘর্ষের আবহে দাম বাড়তে পারে এই পণ্যগুলির

প্রথমেই জানিয়ে রাখি, সন্ত্রাসবাদের দেশ পাকিস্তান থেকে ভারত মূলত খেজুর ও রক সল্ট ছাড়া খুব একটা কিছু সে অর্থে আমদানি করে না কেন্দ্র।

পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের তালিকায় মশলা, ড্রাই ফ্রুটস, সুতির চাদর, শাল সহ অন্যান্য পণ্য থাকলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খেজুর ও রক সল্ট বা সন্দক লবণের জন্য পাকিস্তানের ওপর নির্ভরশীল ছিল ভারত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওদেশের সাথে উত্তেজনা চরমে ওঠায় ভারতীয় বাজারে রক সল্ট ও খেজুরের দামই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।

জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি হোলেসেলে রক সল্ট যেখানে প্রতি কেজিতে ২৬ টাকা ধরে বিক্রি হতো, আচমকা তা বেড়ে গিয়ে ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে পাকিস্তানে ব্যাপকভাবে উৎপাদিত খেজুরের দামও ভারতের বাজারে ৫-১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে দেখা গিয়েছে। একই সাথে, বেশ কিছু ড্রাই ফ্রুটসের দামও আংশিক ক্ষেত্রেই বেড়েছে ভারতীয় বাজারে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, আগামী দিনে স্বল্প হলেও এই পণ্য গুলির দাম বাড়তে পারে!

জানিয়ে রাখি, খেজুর, কিশমিশ ও ডুমুরের মতো শুকনো ফলের জন্য বর্তমানে পাকিস্তানের পরিবর্তে আফগানিস্তান, সৌদি আরব ও দুবাইয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ভারত।

বলা বাহুল্য, পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ধাক্কা খাওয়ায় বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সন্দক লবণ আমদানি করে দিল্লি। এছাড়াও ইরান, জার্মানি, তুরস্ক ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ থেকে রক সল্ট বা শিলা লবণ কিনে নেয় ভারত।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সাথে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায়, মূলত সন্দক লবণের টান পড়েছে দেশের একাধিক পরিবারের হেঁসেলে।

শোনা যাচ্ছে, আগামী দিনগুলিতে যাতে লবনের কোনও অভাব না হয় সেজন্য নাকি দেশের অনেকেই কেজি কেজি করে লবণ কিনছেন।