দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা যায় এল নিনো। কিন্তু ভারতে কেন পড়ছে এর এত প্রভাব?
512
১৬ শতক নাগাদ দক্ষিণ আমেরিকার উপকূলে একদল জেলেকে মাছ ধরে দেখা যায়। এই সময় তাঁরা খেয়াল করেন যে সমুদ্রের জল স্বাভাবিকের তুলনায় উষ্ণ। কিন্তু এই সময়টা জল এতটা উষ্ণ হওয়ার কথা ছিল না।
612
এই তুলনামূলক ভাবে উষ্ণ পরিস্থিতির তাঁরা নাম দিলেন 'এল নিনো দে নাভিদাদ।' নাভিদাদ শব্দের অর্থ হল ক্রিসমাস। অর্থাৎ মূলত ডিসেম্বরে ক্রিসমাসের সময়তেই উষ্ণতা অনেক বেশি।
712
এলনিনো কথার অর্থ হল দুষ্টু ছলে। এটিও একটি স্প্যানিশ শব্দ। তবে শুধু ডিসেম্বরেই নয়, এপ্রিল-মে নাগাদও এই একই পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে।
812
এল নিনো হল প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণ সমুদ্রস্রোত। এই স্রোতের ফলেই দক্ষিণ গোলার্ধের আবহাওয়া বদলে যায়।
912
এই স্রোত সাধারণত পেরু থেকে অস্ট্রেলিয়ার দিকে বয়ে যায়। কিন্তু এল নিনো-র প্রভাবে হয় বায়ু প্রবাহ কমে যায়, থেমে যায় অথবা উল্টে যায় এর দিক।
1012
এই উল্ট বায়ু প্রবাহের কারণেই অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার—এই পুরো অঞ্চলটিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়। কারণ, বাতাসের প্রবাহ সমুদ্রস্রোতকে বয়ে নিতে থাকে পশ্চিম দিকে।
1112
এর প্রভাবেই বাড়ে পশ্চিমে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও ভারতীয় অঞ্চল সহ আশপাশের সমস্ত অঞ্চলে বাড়ে তাপমাত্রা। এমনকী খরাও দেখা দেয়।
1212
কিন্তু কেন এল নিনো হয়, তার সঠিক কারণ এখনও বুঝতে পারেনি বিজ্ঞানীরা। তবে প্রতি ৪ থেকে ৭ বছর পর পর এমন পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়।