বিহারের ফুলওয়াড়ি শরিফের গনপুরা গ্রামের এই বাসিন্দা জানান তাঁর বাবা অথবা মা কেউই কোনও দিন স্কুলে যাননি। সেই জায়গায় এই বৃত্তি তাঁর জীবন আক্ষরিক অর্থেই বদলে দিয়েছে। তাঁর পরিবারের প্রত্যেকেই অসম্ভব খুশি।
অভাবনীয় সুযোগ ভারতের এক ছাত্রের সামনে। তাও কোনও স্বচ্ছল ঘর থেকে উঠে আসা ছাত্র নন। বিহারের দলিত দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের সন্তানের সামনে এল স্বপ্ন সত্যি করার সুযোগ। গোটা বিশ্বে মাত্র ছজন সুযোগ পেয়েছেন। তার মধ্যে একজন হলেন বিহারের দলিত দিনমজুরের ছেলে প্রেম কুমার। আড়াই কোটি টাকার বৃত্তি পেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করতে গেলেন প্রেম। শোষিত সমাধান কেন্দ্রে বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়েন প্রেম কুমার। এই পড়া শেষ করে এ বছরের শেষে তিনি স্নাতক স্তরে পড়াশোনার জন্য রওনা দেবেন পেনসিলভেনিয়ার উদ্দেশে। আমেরিকায় পাড়ি দিয়ে সেখানে লাফায়েত কলেজে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে স্নাতক স্তরের পাঠ নেবেন বলে জানা গিয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর প্রথম দলিত ছাত্র হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন প্রেম কুমার। বিহারের ফুলওয়াড়ি শরিফের গনপুরা গ্রামের এই বাসিন্দা জানান তাঁর বাবা অথবা মা কেউই কোনও দিন স্কুলে যাননি। সেই জায়গায় এই বৃত্তি তাঁর জীবন আক্ষরিক অর্থেই বদলে দিয়েছে। তাঁর পরিবারের প্রত্যেকেই অসম্ভব খুশি। এ যেন অনেকটা সেই অবাস্তব স্বপ্ন সত্যি হয়ে যাওয়ার মত। আমেরিকার পঠনপাঠন তাঁর জীবন ধারাকে বদলে দেশের উন্নতিতে সাহায্য করবে বলেও মনে করছেন প্রেম কুমার।
আরও পড়ুন- খাদ্যতালিকায় রাখুন এই পাঁচটি ফল, দূর হবে উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা, জেনে নিন কী কী
আরও পড়ুন- এই কয়টি উপসর্গ উপেক্ষা করবেন না, Alcoholic Liver Disease-এ আক্রান্ত হলে হয় এমনটা
আরও পড়ুন- JEE Main Result 2022: প্রকাশিত হল JEE Main সেশন ১ এর ফলাফল, রইল বিস্তারিত
আমেরিকার সবচেয়ে অগ্রগণ্য ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির মধ্যে একটি হল লাফায়েত কলেজ। বিশ্ব জুড়ে যে ছ’জন ‘ডাইয়ার ফেলোশিপ’ পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম বিহারের প্রেম। আড়াই কোটি টাকা বৃত্তির মধ্যে তাঁর পড়াশোনা, টিউশন, স্বাস্থ্য, থাকার জায়গা, ভ্রমণ সবই অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ দরিদ্র এই দলিত দিনমজুরের ছেলে প্রেম কুমার নিজের স্নাতক স্তরের পড়াশোনার জন্য বিশেষ কোনও খরচ দিতে হবে না। প্রেম কুমার পরিবার জানাচ্ছে ছেলেকে কষ্ট করে হলেও পড়াশোনা শিখিয়েছেন তাঁরা। দেশে কোনও বৃত্তি না পেলে হয়ত উচ্চশিক্ষা আটকে যেত তাঁদের সন্তানের।
সেই অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আড়াই কোটি টাকার স্কলারশিপ পাওয়া যেন তাঁদের কাছে হাতে চাঁদ পাওয়ার মত। এরকমও যে তাঁদের জীবনে ঘটতে পারে, তা ভাবেননি কখনও। সন্তানের সাফল্যে গর্বিত বাবা মা। তাঁদের অন্ধকার ঝুপড়িতে যে এভাবে শিক্ষার আলো সুদূর আমেরিকা থেকে এসে পৌঁছবে, তা কল্পনার অতীত। তবে স্বপ্ন সফল হয়েছে। এবার সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। সেদিকেই তাকিয়েই আচ্ছে দিনের আশায় বুক বাঁধছেন বিহারের ওই দিনমজুর পরিবার।