Taste Of Cyanide: সায়নায়েডের স্বাদ কেমন, এক আত্মঘাতীর চিঠিতে উঠে এসেছিল সেই কাহিনি

এর এক কণা মুখে যাওয়া মানেই সাক্ষাত মৃত্যু। তবে সেই মৃত্যুর হাতছানিতেও একজন লিখে গিয়েছিলেন সায়ানায়েডের স্বাদের কথা।

Parna Sengupta | Published : Dec 21, 2021 1:04 PM IST

বেশি নয়, কোনও মানুষকে একেবারে শেষ করতে দরকার শুধু এক চিমটি। শেষ নিঃশ্বাস ঠিক মতো নেওয়ার আগেই সেই মানুষ শেষ হয়ে যেতে পারে এর সৌজন্যে। তিনি সায়নায়েড। বিষের জগতের একচ্ছত্র সম্রাট। কিন্তু কেমন এর স্বাদ, কেউ বলতে পারবেন, না। কারণ এর এক কণা মুখে যাওয়া মানেই সাক্ষাত মৃত্যু। তবে সেই মৃত্যুর হাতছানিতেও একজন লিখে গিয়েছিলেন সায়ানায়েডের স্বাদের কথা।

কিন্তু হঠাত সায়ানায়েডের কথা কেন। কারণ ২০০৬ সালের (Year of 2006) এক ঘটনার কথা উঠে এসেছে বুকার প্রাইজ জয়ী ঔপন্যাসিক Benjamín Labatut-এর When We Cease to Understand the World বইতে। এই সায়ানায়েডের স্বাদ (taste of cyanide) কেমন, বলে গিয়েছিলেন মৃত্যুপথযাত্রী এক কেরলবাসী। ২০০৬ সালের ১৭ই জুন পালাক্কাডের হোটেলে পেশায় স্বর্ণকার এম পি প্রসাদ আত্মহত্যা করেন সায়ানায়েড খেয়ে। মৃত্যুর ঠিক আগে কাঁপা কাঁপা হাতে নিজের সুইসাইড নোট লেখেন তিনি। সেখানে লেখা ছিল "ডাক্তার, পটাসিয়াম সায়ানাইড। আমি এটার স্বাদ নিয়েছি। এটি জিভকে পুড়িয়ে দেয়, এর স্বাদ তীব্র। আমি একটি উপন্যাসে পড়েছি কিভাবে একজন পাঠক নিজেকে খুন করে। আর এখন জানলাম কোনও প্রমাণ না রেখেই মানুষ খুন কীভাবে করা যায়।" পালাক্কাডের টাউন পুলিশ অফিসার কে প্রমোদ জানিয়েছিলেন এটাই সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র সায়ানায়ের স্বাদ সম্পর্কে পাওয়া আসল প্রামাণ্য তথ্য। 

জেলা পুলিশ সার্জন পিবি গুজরাল বলেন এই সুইসাইড নোটটি আসলে একটি নথি। কারণ এটা ছাড়া সায়ানাইডের স্বাদ সম্পর্কে আর কোন লিখিত প্রমাণ নেই। এই ঘটনার কথাই উল্লেখ করা হয় বুকার পুরস্কার জয়ী লেখক বেঞ্জামিনের লেখায়। বেঞ্জামিন লিখেছেন মুখে একবার সায়ানায়েডের দানা পড়লে, সেই অভিজ্ঞতা বলার আর কেউ থাকে না। সাথে সাথে সে মারা যাবে। তাই নিজের জীবন দিয়েই প্রসাদ বলার চেষ্টা করেছেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা, যা আর কেউ বলেনি।

বেঞ্জামিন এমন একজন ঔপন্যাসিক যিনি নিজের লেখায় সেই আত্মহত্যাকে বহু বছর পরে, এর ঐতিহাসিক তাত্পর্য দিয়ে চিহ্নিত করেছিলেন। প্রসাদের চার পাতার সুইসাইড নোটে তার মৃত্যুর রহস্য বলা ছিল। এর প্রথম পৃষ্ঠায় তাঁর জীবনের আর্থিক পতনের গল্প ছিল। দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় বাবা এবং মাকে উদ্দেশ্যে লেখা ছিল। তৃতীয় পৃষ্ঠায় ম্যাজিস্ট্রেটের উদ্দেশ্যে লেখা একটি নোট ছিল। পরবর্তী পৃষ্ঠায়, তিনি সায়ানাইড ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লেখেন। 

Share this article
click me!