সোমবার তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভের প্রথম দিনেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং পাল্টা হুঁশিয়রি দিয়েছে বাংলার শাসকদলকে।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তৃণমূল দিল্লিতে দুই দিনের ধর্না অবস্থানের কর্মসূচি নিয়েছে। উপস্থিত রয়েছেন দলের প্রথম সারির নেতৃত্ব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বেই এই অবস্থান কর্মসূচি। কিন্তু সোমবার তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভের প্রথম দিনেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং পাল্টা হুঁশিয়রি দিয়েছে বাংলার শাসকদলকে। তিনি বলেছেন, এবার বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করার সময় এসে গিয়েছে। তবে মাটি ছাড়তে নারাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা উত্তর দিয়ে তিনি বলেছেন, সিবিআই তদন্তে তাঁর বা তাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে অভিষেকের দাবি সিবিআই তদন্ত নিয়োগ দুর্নীতির মতই আদালতের পর্যবেক্ষণে হতে হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্র্রী গিরিরাজ সিংএর অভিযোগ ১০০ দিনে র কাজ প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বাংলায় নয়ছয় হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন ২৫ ল৭ ভুয়ো জবকার্ড তৈরি হয়েছে এই রাজ্যে। তিনি আরও বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গরীবের টাকা ফেরত চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ আবাস যোজনার টাকায় যাদের বাড়ির প্রয়োজন নেই তারা বাড়়ি পেয়েছে তার যাদের মাথার ওপর ছাদ প্রয়োজন তারা কিছুই পায়নি। গরীবের প্রাপ্য টাকা নয়ছয় হয়েছে বলেও তাঁর অভিযোগ। তিনি আরও বলেন, ইউপিএ জমানার তুলনায় বাংলায় বেশি টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
গিরিরাজ সিং বলেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যকে ৩০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। সড়ক নির্মাণ ক্ষেত্রে রাজ্যকে ৫৪০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। যা ইউপিএ আমলের থেকে অনেক বেশি। তাঁর আরও অভিযোগ তৃণমূল দিল্লিতে অভিযানের নামে তাঁর দফতরে হামলাক পরিকল্পনা করছে।
গিরিরাজ সিং-এর অভিযোগের পাল্টা উত্তর দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সিবিআই তদন্তে তাঁর ও দলের কোনও আপত্তি নেই। বিজেপির দাবি রাজ্যের চারটি জেলায় দুর্নীতি হয়েছে। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে অভিষেক বলেন, রা্যের চারটি জেলায় দুর্নীতি যদি হয়ে থাকে তাহলে কেন গোটা বাংলার টাকা বন্ধ করে দেওয়া হল। তিনি বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় দেওয়াল চাপা পড়ে চার শিশু সহ পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন মন্ত্রীর ব্যঙ্গ আর অহং না থাকলে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না। তৃণমূল দুই জেলার নিহতদের পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি গিয়েছে।