এটিএস সূত্র জানাচ্ছে সাইফুল্লাহ ভুয়ো ভার্চুয়াল আইডি তৈরিতে বিশেষজ্ঞ ছিল। অনেক পাকিস্তানি ও আফগান জঙ্গির আইডি-ও সে তৈরি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের অনেক জঙ্গির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার।
উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে বড় সাফল্য পেল উত্তরপ্রদেশ অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াড বা ATS। জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত হাবিবুল ইসলাম ওরফে সাইফুল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নূপুর শর্মাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পুলিশের হাতে ধরা পড়া জঙ্গি নাদিমকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাইফুল্লাহ ভুয়ো আইডি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিল বলে এটিএস সূত্রে খবর।
ভুয়ো আইডি তৈরিতে পারদর্শী
এটিএস সূত্র জানাচ্ছে সাইফুল্লাহ ভুয়ো ভার্চুয়াল আইডি তৈরিতে বিশেষজ্ঞ ছিল। অনেক পাকিস্তানি ও আফগান জঙ্গির আইডি-ও সে তৈরি করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের অনেক জঙ্গির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তার। সাইফুল্লাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় জিহাদি ভিডিও তৈরি করে মানুষকে ধর্মান্ধতায় উস্কে দিত। সাইফুল্লাহর কাছ থেকে একটি ছুরিও পেয়েছে ATS। সাইফুল্লাহর গ্রেফতার একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নাদিমকে সাহারপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়
শুক্রবার, উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস) সাহারানপুর থেকে জইশ-ই-মহম্মদ এবং অন্যান্য সংগঠনের সাথে জড়িত এই অভিযুক্ত জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। সাহারানপুর জেলার গঙ্গোহ থানা এলাকার অন্তর্গত কুন্দা কালা গ্রামের মহম্মদ নাদিম (২৫) জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে তাকে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি নুপুর শর্মাকে হত্যার দায়িত্ব দিয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ রবিবার দিনভর বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের, আরও শক্তি বাড়াল নিন্মচাপ
আরও পড়ুনঃ রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা ভারতের ওয়ারেন বাফেট, কিন্তু শেয়ার মার্কেটে পা রেখেছিলেন মাত্র ৫ হাজার টাকা নিয়ে
আরও পড়ুনঃ এই ছবি দেখে ঘুম উড়ছে দিল্লিবাসীর, কাঁটাছেঁড়া করতে ব্যস্ত নেটবাসীরা
সাসপেন্ড করা বিজেপির মুখপাত্র নুপুর শর্মা হজরত নবীকে নিয়ে তার কথিত বিতর্কিত মন্তব্যের পর আলোচনায় আসেন। জইশ-ই-মহম্মদ এবং অন্যান্য সংগঠনের সাহায্য নিয়ে নাদিম ফিঁদায়ে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ওই জঙ্গি স্বীকার করেছে যে ২০১৮ সাল থেকে সে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করছিল।
জইশ-ই-মহম্মদের সাথে জড়িত মহম্মদ নাদিমের পুরো নেটওয়ার্ককে ধ্বংস করতে চাইছে এটিএস। পুরো শক্তি দিয়ে নাদিমের সহযোগীদের খুঁজছিল ATS। নাদিম জঙ্গি হামলা ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানতে পেরেছে এটিএস। নাদিমের নেটওয়ার্কে সাইফুল্লাহও জড়িত ছিল। নাদিম বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল, যাতে সে জঙ্গি হামলা ঘটাতে পারে। ২০১৮ সালে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পাকিস্তানি জঙ্গি হাকিমুল্লাহর সাথে নাদিমের পরিচয় হয়।
হাকিমুল্লাহই নাদিমকে সাইফুল্লাহর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। সাইফুল্লাহ তখন তাকে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থিত মৌলবাদীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। নাদিমের ভুয়ো জি-মেইল আইডি, ভার্চুয়াল আইডি এবং টেলিগ্রাম আইডি পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল। নাদিমকে 'লোন উলফ অ্যাটাক' করার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল। এর জন্য কিছু 'টার্গেট'ও চিহ্নিত করেছিল নাদিম বলে সূত্রের খবর।