নারী নির্যাতনের করুণ কাহিনি- বিয়ের কার্ড বিলির সময়ই তরুণীকে অপহরণ, গণধর্ষণ আর বিক্রি

মাত্র ১৮তেই স্বপ্নভঙ্গ  উত্তর প্রদেশের তরুণীর। একদিকে তাঁর বিয়ের কার্ড বিলি হচ্ছে- বিয়ে করে নতুন সংসার পাতার স্বপ্ন দেখছে তখনই তাঁরে তিন জন পুরুষ ধর্ষণ করে। নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, তাঁকে এক রাজনৈতিক নেতার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

Saborni Mitra | Published : May 10, 2022 4:39 AM IST

আবারও সামনে এল উত্তর প্রদেশের নারী নির্যাতনের করুণ কাহিনি। এবার এমন এক তরুণীর কথা সামনে এসেছে যা শুনলে চমকে উঠবেন আপনিও। তরুনীকে এমন সময় তাঁর বাড়ি থেকে তুলি নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে, যখন তাঁর বিয়ের কার্ড বিলি করছিলেন পরিবারের সদস্যরা। 

মাত্র ১৮তেই স্বপ্নভঙ্গ  উত্তর প্রদেশের তরুণীর। একদিকে তাঁর বিয়ের কার্ড বিলি হচ্ছে- বিয়ে করে নতুন সংসার পাতার স্বপ্ন দেখছে তখনই তাঁরে তিন জন পুরুষ ধর্ষণ করে। নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, তাঁকে এক রাজনৈতিক নেতার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপর পাচার করে দেওয়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের পার্শ্ববর্তী দাতিয়া জেলার একটি গ্রামে। সেখানেই এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁকে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল। 

নির্যাতিতা তরুণী জানিয়েছেন ২১ এপ্রিল তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সেইমত ১৮ এপ্রিল বিয়ের কার্ড বিলি করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ই তাঁর বাড়ির কাছ থেকেই তিন জন তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর একটি নির্জন জায়গা নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তারপরই তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। 

মহিলা জানিয়েছেন, এই কদিন তাঁকে একাধিক জায়গায় রাখা হয়েছিল। যার মধ্যে রয়েছেন এক রাজনৈতিক নেতাও। সেই নেতা তাঁকে ঝাঁসিতে রেখেছিলেন। সেখান থেকেই তাঁকে জোর করে এক ব্যক্তির সঙ্গে থাকতে বাধ্য করার জন্য দাতিয়া গ্রামে পাঠান হয়েছিল। 

মহিলা জানিয়েছেন সেখান থেকেই তিনি তাঁর বাবাকে ফোনে সব কথা জানাতে পেরেছিলেন। তারপর পুলিশের সাহায্যে সেখান থেকে পরিত্রাণ পান। উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।  জেলা প্রশাসন ও ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে  নির্যাতিতার জবানবন্দি নেওয়া হয়েচে। অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লানি। নির্যাতিতা মহিলাকে সবরকম নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

এই ঘটনা এই প্রথম নয় যোগী রাজ্যে একাধিকবার সামনে এসেছে নারী নির্যাতনের কাহিনি হাতরস থেকে উন্নাও- সর্বত্র ছবিটা একই। যা নিয়ে মাঝে মাঝেই বিশিষ্ট জনরা তুমুন সমালোচনা করেন যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের।  নারী সুরক্ষারর দিকে আরও জোর দেওয়া জরুরি বলেও দাবি উঠেছে।  পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাসনিয়েও তাঁরা একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এখনও পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

 

Share this article
click me!