ফুলশয্যার রাতে সেক্স বাড়ানোর ওষুধ খেয়ে যৌন সঙ্গমের প্রস্তুতি শুরু করে বর। পরেরদিন সকাল থেকেই নতুন কনে বমি করতে শুরু করেন।
বিয়ের পরের দিনেই মারাত্মকভাবে বমি করতে শুরু করলেন নববধূ! স্বাস্থ্যের ক্রমশ অবনতি হতে থাকায় ভর্তি করাতে হল হাসপাতালে। শারীরিক পরীক্ষা করে থ হয়ে যান গাইনোকোলজিস্ট! চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে ।
এখানকার এক যুবকের সঙ্গে সাত দিন আগে বিয়ে হয়েছিল ওরাই শহরের এক যুবতীর। বিয়ের পর কনে নিজের শ্বশুর বাড়িতে আসেন। ফুলশয্যার রাতে সেক্স বাড়ানোর ওষুধ খেয়ে যৌন সঙ্গমের প্রস্তুতি শুরু করে বর। সারা রাত ধরে নববধূর ওপর চলতে থাকে যৌন নির্যাতন। পরদিনই তাঁর অবস্থার ব্যাপক অবনতি হতে শুরু করে। নতুন কনে বমি করতে শুরু করেন।
-
অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে, ৭ ফেব্রুয়ারি, নির্যাতিতাকে কানপুরে ভর্তি করতে হয় । ১০ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ টানা ৩ দিন ধরে চিকিৎসা চলার পরেও তাঁর মৃত্যু হয়।
ময়নাতদন্তের পর নববধূর লাশ বাড়িতে পৌঁছোলে এলাকা জুড়ে হৈচৈ পড়ে যায়। বোনের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে আইনি অভিযোগ করার হুঁশিয়ারি দেন নববধূর দাদা।
-
বিয়ের পরেরদিন যখন নববধূ অসুস্থ, তখন অভিযুক্ত বর নিজের শ্যালিকাকে ফোন করে স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধেই অসুস্থতার অভিযোগ তোলে, তার দাবি ছিল যে, কনে যে অসুস্থ, সেই খবরটি লুকিয়ে তাঁর সঙ্গে কনের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, টনক নড়ে হাসপাতালের স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ, অর্থাৎ, গাইনোকোলজিস্টের। নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষার পর তিনি জানান যে, তাঁর ওপর এতটাই যৌন নির্যাতন করা হয়েছে যে, দেখে মনে হচ্ছে যেন সারা রাত ধরে তিনি গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।