প্রয়াগরাজে ঘটনাস্থলে গেছে ডগ স্কোয়াড। তথ্য সংগ্রহ করছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। তবে এখনও পর্যন্ত খুনে কে বা কারা তা স্পষ্ট কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
প্রয়াগরাজ হত্যাকাণ্ডের জট এখনও পর্যন্ত খুলতে পারেনি পুলিশ। এদিন সকালেই প্রয়াগরাজ জেলার একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যদের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। উত্তর প্রদেশের প্রবীণ পুলিশ কর্তা অজয় কুমার বলেছেন, প্রতিটি মৃতদেহে মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাতে স্পষ্ট যে প্রত্যেককেই মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপরই সবকিছু নির্ভর করছে। এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয় খুনের মোটিভ।
ঘটনাস্থলে গেছে ডগ স্কোয়াড। তথ্য সংগ্রহ করছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। তবে এখনও পর্যন্ত খুনে কে বা কারা তা স্পষ্ট কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশের এখনও পর্যন্ত দৃঢ়় অনুমান ক্রাইম সিনেই পাওয়ায় কোনও না কোনও তথ্য। যা খুনির সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারনা দেবে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, যারা খুন করেছে তারাই পালানোর আগে বাড়িতে আগুন লিগিয়ে দিয়েছিল। প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল প্রমাণ লোপাট করা করা। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। তারণ বাড়িতে আগুন আর ধোঁয়া দেখেই স্থানীয় বাসিন্দা দমকলে খবর দেয়। যদিও সেই সময় প্রতিবেশীরা জানত বাড়ির পাঁচ ডন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে।
জেলা শাসকের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, প্রাথমিকভাবে পুলিশকে জানান হয়েছিল যে বাড়িতে আগুন লেগেছে। পুলিশের পাশাপাশি দমকম কর্মীদেরও আসতে বলেছিল প্রতিবেশীরা। কিন্তু পুলিশ বাড়িতে ঢুকে দেখে বাড়িতে পড়ে রয়েছে পাঁচটি নিথর দেব। যে ঘরে আগুন লেগেছিল তার পাশেই ছিল মা ও মেয়ের দেহ। এক মহিলা পুলিশ বাড়িতে ঢোকার সময় পর্যন্ত জীবিত ছিল। তবে তিনি কিছু বলার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পুলিশ জানিয়েছে বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে রাম কুমার যাদব, তাঁর স্ত্রী কুসুম দেবী, মেয়ে মণীষা, পুত্রবধূ সবিতা ও নাতনি মিনাক্ষীর দেব। মিনাক্ষীর বয়স মাত্র ২ বছর। পুলিশের অনুমান এই ঘটনায় হাত রয়েছে কোনও সুপারি কিনার। না হলে মাত্র ২ বছরের মেয়ে কোনও মানুষই নৃশংসভাবে খুন করতে পারে না। তবে এই পরিবারের দুই সদস্য রাম কুমারের পাঁচ বছরের নাতনি ও এক ছেলে সুনীল বেঁচে রয়েছে। যাদের পুলিশ সাক্ষী হিসেবে ব্যবহার করছে। রাম কুমারের ছেলে সুনীল সেই সময় বাড়ি ছিল না বলেও জানিয়েছেন।
তবে এদিন ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরই স্থানীয় বাসিন্দাদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল পুলিশকে। কারণ স্থানীয় বাসিন্দা এলাকায় নিরাপত্তা নেই বলেও অভিযোগ করেছিলেন। পাশাপাশি তাঁরা খবর দেওয়ার অনেক পরে দমকল বাহিনী এসেছিল বলেও তাদের অভিযোগ।
মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে এই জেলায় পরপর দুটি হাড়হিম করা খুনের ঘটনা ঘটেছে। কিছু দিন আগেই খাগলপুর গ্রামে প্রীতি তিওয়ারি ওর তার তিন মেয়েকে একসঙ্গে গলা কেটে খুন করা হয়েছিল। বাড়িতেই উদ্ধার হয়েছিল মহিলার স্বামী রাহুলের ঝুলন্ত দেহ। একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছিল , যেখানে রাহুল প্রীতির বাবার বিরুদ্ধে মানসিক হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন।
চিপসের প্যাকেটে লিখতে হবে 'বিপজ্জনক', স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের জাঙ্ক ফুড নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি FSSAI-কে
'আমরা বুলডোজার চালাই না', জাহাঙ্গিরপুরী নিয়ে রীতিমত হুঙ্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সেরার সম্মান অসমের লৌহ মানবীকে, সন্ত্রাস দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সংযুক্তা পরাশরের
প্রয়াগরাজে একই পরিবারে পাঁচ জন খুন, তদন্তে হস্তক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ