সংক্ষিপ্ত

সংযুক্তা উত্তর পূর্ব অসম ও দেশের অন্যত্র আয়রন লেডি হিসেবে পরিচিত। রাজ্যের প্রথম মহিলা যিনি আইপিএস অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন। 

অসমের আইপিএস অফিসার সংযুক্ত পরাশর- স্থানীয়রা তাঁকে লৌহ মানবী হিসেবেই চেনে। তিনি এবার পুলিশ প্রশিক্ষণের শ্রেষ্ঠত্বের সম্মান পালেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ- তাঁর হাতে সেরার পদক তুলে দিয়েছেন। একই সঙ্গে পুরস্কার হসেবে নগদ ২৫ হাজার টাকা ও একটি শংসাপত্র দেওয়া হয় তাঁকে।  অসম-মেঘালয় ক্যাডারের ২০০৬ এর ব্যাচের আইপিএস আধিকারিক। পুলিশ তদন্তকারী প্রশিক্ষক হিসেবে তাঁর অসামান্য কাজের জন্য বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাঁকে সম্মানিত করে। সংযুক্তা পরাশর বর্তমানে দিল্লিতে ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেশন এডেন্সিতে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসেবে কর্মরত। এর আগেও তিনি একাধিক সম্মান পেয়েছেন। 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত  শাহের উপস্থিতিতে ১৩তম এনআইএ দিবস উদযাপনে জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই অনষ্ঠানে ২২জনকে সম্মান প্রদান করা হয়। তারমধ্যে একমাত্র মহিলা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন আইপিএস আধিকারিক সংযুক্তা পরাশর। 


সংযুক্তা উত্তর পূর্ব অসম ও দেশের অন্যত্র আয়রন লেডি হিসেবে পরিচিত। রাজ্যের প্রথম মহিলা যিনি আইপিএস অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন। অসমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সংযুক্ত। প্রাথমিক স্তরের পড়াশুনা অসমেই । তারপর দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যায় থেকে স্নাচকোত্তর স্তরের পড়াশুনা করেন। ইন্দোনেশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল করে। পিএইচডি ডিগ্রিও রয়েছে তাঁর। 

আইপিএস অফিসার সংযুক্তার চাকরি জীবনও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।  সেখানেও একাধিক সাফল্য পেয়েছেন তিনি। জনসেবা তিনি যে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন তাও প্রতিফলিত হয়েছে তাঁর কাজে। অল ইন্ডিয়া সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সংযুক্তা ৮৫তম স্থান অর্জন করেছিলেন। তারপর মেঘালয় - অসম ক্যাডারে যোগ দেন তিনি। ২০০৮ সালে অসমের মাকুমে সহকারী কমান্ডর হিসেবে প্রথম পোস্টিং হয়। পরবর্তীকালে সোনিতপুরে একজন এসপি হিসেবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেখানে তিনি সিআরপিএফ জওয়ানদের একটি দলের দায়িত্বেও ছিলেন। ২০১১-১৬ সাল পর্যন্ত অসমের জোরহাট ও সোনিতপুরে উলফা ও এনডিএফবি- চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সেই সময় পুলিশ সুপার হিসেবে তাঁর ভূমিকা যথেষ্ট প্রশংসনীয় ছিল ছিলয 

২০১৭ সাল থেকেই এনআইএ-র সঙ্গে কাজ করছেন সংযুক্তা। তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। এনআইএতে এখন তার কাজ হল দিল্লিতে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশের মধ্যে সক্ষমতা বাড়ানো ও সংগঠিত করা। এদিনের অনুষ্ঠানে অমিত শাহ এনআইএ-র কাজের প্রশংসা করেছেন। বর্তমানে এনআইএ অনেকটাই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে কাজ করছে। শুধু দোষীদের পাকড়াও করা বা চিহ্নিত করা নয়, দেশের অপরাধেন হার কমানো বা সন্ত্রাসবাদী মডিউল গুলো চিহ্নিত করে তা ধ্বংস করাও এনআইএ-র একটি অন্যতম লক্ষ্য। 

PoK সফরে মার্কিন কংগ্রেসের মহিলা সদস্য, 'সংকীর্ণ রাজনীতি' বলে তীব্র নিন্দা করল ভারত

হরিণঘাটায় ফ্লিপকার্টের ফুলফিলমেন্ট সেন্টার, বাণিজ্য সম্মেলনের আসর থেকে উদ্বোধন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসের আগেই দেখুন ম্যালেরিয়া-মুক্তির উপায়, অনুসরণ করল সুবিধে পাবেন আপনি