সুখের দিন শেষ। পয়লা জুলাই থেকে অফিসে কাজের সময় বাড়তে পারে। কর্মচারীদের অফিসের কাজের সময় ৮-৯ ঘন্টার থেকে বেড়ে ১২ ঘন্টায় পৌছতে পারে। লেবার কোডগুলি যত দ্রুত সম্ভব বদল আনতে চলেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার।
পয়লা জুলাই থেকে অফিসের কাজের সময় বেড়ে বারো ঘন্টা হতে চলেছে। অতয়েব সুখের দিন শেষ। আজ্ঞে হ্যাঁ, পয়লা জুলাই থেকে অফিসে কাজের সময় বাড়তে পারে। কর্মচারীদের অফিসের কাজের সময় ৮-৯ ঘন্টার থেকে বেড়ে ১২ ঘন্টায় পৌছতে পারে। লেবার কোডগুলি যত দ্রুত সম্ভব বদল আনতে চলেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। তবে খুব দ্রুত করলেও ফোর লেবার কোডগুলি পুরোপুরি শুরু হতে নুন্যতম তিন মাস সময় লাগবে। মানি কন্ট্রোল রিপোর্ট করেছে, কারণ এখনও সব রাজ্য নিয়মগুলি এখনও তৈরি করেনি। তবে এই লেবার কোড বা শ্রম বিধি দেশের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে। এব কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
শ্রম আইন দেশের সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ তবে দেশের সব রাজ্যে এখনও তৈরি করে উঠতে না পারলেও, এখনও অবধি ২৩ টি রাজ্য লেবার কোডের নিয়ম তৈরি করেছে। এখন বেলার কোডের নিয়ম অনুসারে শুধুমাত্র ৭ টি রাজ্য এখনও অবধি এই নিয়ম তৈরি করে উঠতে পারেনি। এজন্য আরও তাঁধের তিন মাস সময় লাগতে পারে। তবে ইতিমধ্য়ে বলা হয়েছে, ১ জুলাই থেকেই লেবার কোড বা শ্রমবিধি নিয়মগুলি কার্যকর হতে চলেছে।
আরও পড়ুন, ফের দেশে উর্ধ্বমুখী কোভিড গ্রাফ, আশঙ্কা বাড়ছে একাধিক রাজ্যে, কী খবর কলকাতার
ভারতের ২৯ টি কেন্দ্রীয় শ্রম আইন ৪টি কোডে বিভক্ত। কোডের নিয়মের মধ্য়ে রয়েছে ৪টি শ্রম কোড। যেমন মজুরি, সামাজিক নিরাপত্তা, ইন্ড্রাসট্রিয়াল রিলেশন , পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য।এখনও পর্যন্ত ২৩ টি রাজ্য এই আইন তৈরি রেখেছে। এই চারটি লেবার কোড সংসদে পাশ হয়েছে। নয়া খসরা নিয়ম অনুযায়ী, মূল বেতনের মোট ৫০ শতাংশ বা তার বেশি হতে হবে বেসিক বেতন। মূল বেতন বৃদ্ধি, পিএফ এবং গ্যাচুইটির অর্থ আগের থেকে বেশি কাটা হবে। এটি কর্মচারির স্যালারি স্ট্রাকচার অর্থাৎ বেতনের কাঠামোকে বদলে দেবে।
আরও পড়ুন, ফের দিল্লিতে মুখোমুখি মোদী- মমতা, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের মাঝেই হতে পারে বৈঠক
তবে সময় কাজের সময় ১২ ঘন্টা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনার সঙ্গে সঙ্গে আরও একদিন ছুটিও পাওয়া যাবে। অর্থাৎ কর্মচারীরা ৩ দিন ছুটি পেতে পারেন। গ্র্যাচুইটি এবং পিএফ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অবসরগ্রহণের পরে প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণও বাড়বে। এতে অবসরগ্রহণের পর কর্মীদের আরও সহজ জীবনযাপন করা সম্ভব হবে।তবে গ্র্যাচুইটি এবং পিএফ বৃদ্ধি, কোম্পানিগুলির জন্য খরচও বাড়িয়ে দেবে। কারণ তাঁদের কর্মীদের জন্য পিএফ-এ আৎও বেশি কন্ট্রিবিউট করতে হবে। এটি তাঁদের ব্যালেন্স শিটে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।