হিলা একটি ইয়ারফোন কিনতে গিয়েছিল। দোকানের মালিক নুরুল আমিন মহিলাকে দেখেই মেজাজ হারান।
জিন্সের প্যান্ট (jeans) পরার কারণে রীতিমত মান-সম্মান খোতায়ে বসেছিলেন এক তরুণী। অসমের (Assam ) বিশ্বনাথ জেলার একটি দোকানের মালিক জিন্স পরার কারণে এক তরুণীর সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। মহিলাকে প্রায় ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। বোরখা না পরে কেন জিন্স পরছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল তরুণীর কাছে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে অসমের বিশ্বনাথ রারিয়ালীর একটি মোবাইল ফোনের দোকানে। মহিলা একটি ইয়ারফোন কিনতে গিয়েছিল। দোকানের মালিক নুরুল আমিন মহিলাকে দেখেই মেজাজ হারান। মহিলার পরনে জিন্স কেন তাও জানতে চান বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর দোকানদার মহিলাকে ইয়ারফোন বিক্রি করতেও অস্বাকীর করেন। বোরখা না পরায় প্রশ্নবানে তাঁকে জর্জরিত করতে থাকেন। সবথেকে গলা ধাক্কা দিয়ে মহিলাকে দোকান থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আক্রান্ত তরুনী জানিয়েছেন, তিনি যখন দোকানে গিয়েছিলেন তখন এক প্রাপ্ত বয়স্কো ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। তরুণীকে দেখতে চান না বলেও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন। দোকান থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন বলেও অভিযোগ করেন তরুণী। আক্রান্ত তরুণী আরও জানিয়েছেন বৃদ্ধ দোকানদার বাড়ির সামনেই মোবাইলের দোকান করেছেন। তাঁর চিৎকারে পরিবারের আরও অনেক লোক বেরিয়ে আসে। কিন্তু বৃদ্ধের আচরণের কোনও প্রতিবাদ পরিবারের সদস্যরা করেনি। দোকানদার আরও বলেছিলেন তরুণীর পরনে জিন্স দেখে তাঁর পুত্রবধূও প্রভাবিত হবেন। কারণ তাদের এজাতীয় পোষাক পরতে দেওয়া হয় না। তাঁর পুত্রবধূরা সর্বদা হিজাব বা বোরখা পরে থাকেন। জিন্স পরা পরিবারের সদস্যরা পছন্দ করে না বলেও জানিয়েছেন দোকানদার।
Madhyamik and HS Exam: মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাসূচি ঘোষণা, জেনে নিন কবে কোন পরীক্ষা
আক্রান্ত তরুণী বাড়ি ফিরে পুরো বিষয়টি তাঁর পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিল। তারপরই তরুণীর বাবা দোকানে যায়। মেয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ করেন। কিন্তু দোকানদারের পরিবারের সদস্যরা তারপর মেয়েটির বাবার সঙ্গেই অশালীন আচরণ করেন। মেয়েটির বাবারে লাঞ্ছিত করে। তারপরই তরুণীর পরিবারের স্থানীয় পুলিশের দ্বারস্থ হয়। আটক করা হয়েছে দোকানদারকে।
Covid 19: ২২ মাসে ৫০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু, করোনাভাইরাসের মৃত্যুমিছিলের শেষ কোথায়
এটাই প্রথম নয়। এর আগেই এজাতীয় ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয়েছে ভারতীয় মহিলাদের। রক্ষণশীল পুরুষতান্ত্রিক সমাজ অনেক সময়ই মহিলাদের স্বাচ্ছন্দ্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ার সেক্ষেত্র সংশ্লষ্টরা ভুলে যায় তাঁরা কার সঙ্গে এজাতীয় আচরণ করছে। কারণ মাঝে মাঝে এজাতীয় আচরণ ঘরের গণ্ডী পারিয়ে পৌঁছে যায় সমাজের অলিন্দে।