দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ সঠিক পথেই অগ্রসর হচ্ছে। কিন্তু তাও প্রধানত তিনটি বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন তারা - সন্ত্রাসবাদ, বেকারত্ব এবং আর্থিক ও রাজনৈতিক দুর্নীতি। ইপসোস সংস্থার করা এক বিশ্ব সমীক্ষায় এই তথ্যই উঠে এসেছে।
সম্প্রতি ইপসোস নামে এক সমীক্ষা সংস্থা ভারত, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, সৌদি আরব, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ মোট ২৮টি দেশে মানুষ কী কী বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন তা নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে। এর মধ্যে ২২টি দেশের নাগরিকরাই দেশের অগ্রগতি সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেছেন। ভারতীয়রা কিন্তু সেই দলে নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন ভারতীয়রা। পুলওয়ামার হামলার ঘটনাই এই চিন্তা বাড়ার প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া, মোদী সরকার যতই কর্মসংস্থান বাড়ার দাবি করে থাকুক, সমাীক্ষার ফল বলছে ভারতীয়দের দ্বিতীয় দুশ্চিন্তার কারণ আপাতত হাতে কাজের অভাব। এই চাকরিহীনতা নিয়ে উদ্বেগ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে এই সমস্যার মোকাবিলায় পদক্ষেপ করতে হবে বলে জানিয়েছে ইপসোস সংস্থা।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্নীতির মোকাবিলা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই ২০১৪ সালে সরকারে এসেছিল নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি। তারপর, নোট বাতিল, জিএসটি চালুর মতো পদক্ষেপেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। অন্তত সমীক্ষায় উঠে আসা জনমত তাই বলছে। মোদী সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও তাই ভারতীয়দের তৃতীয় বড় উদ্বেগের কারণ আর্থিক ও রাজনৈতিক দুর্নীতি।
সমীক্ষায় বিশ্বের প্রধানতম উদ্বেগের বিষয়গুলি চিত্রটা খুব আলাদা না হলেও ভারতীয়দের মতো সন্ত্রাসবাদ স্রাবিকভাবে ততটা প্রাধান্য পায়নি। ২৮টি দেশের মানুষের দুশ্চিন্তার বিষয়ের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে আর্থিক ও রাজনৈতিক দুর্নীতি। এরপরই রয়েছে দারিদ্র্য ও সামাজিক বৈষম্য। তারপর এসেছে বেকারত্ব, অপরাধ ও হিংসা, এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার মতো বিষয়।
দেশযে সঠিক পথে চলেছে এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি আস্থা প্রকাশ করেছেন চিনের নাগরিকরা। দেশের শাসকদের প্রতি আস্থা প্রদর্শনে এরপরই আছে যথাক্রমে সৌদি আরব, ভারত ও মালয়েশিয়া।
আর দেশ বিপথে চলছে বলে মনে করা ২২টি দেশের তালিকায় প্রথম পাঁচটি দেশ হল দক্ষিণ আফ্রিকা, ফ্রান্স, স্পেন, তুরস্ক এবং বেলজিয়াম।