'লাদাখ অরুণাচল সীমান্ত নিয়ে আমি আশ্বস্ত', ITBPর প্রশংসা করে বললেন অমিত শাহ

আইটিবিপি মোতায়েন রয়েছে লাদাখ আর অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে। সেই কারণে কেউ এক ইঞ্চি জমিও ছিনিয়ে নিতে পারবে না। বেঙ্গালুরুর অনুষ্ঠানে বললেন অমিত শাহ।

 

Web Desk - ANB | Published : Dec 31, 2022 10:27 AM IST

লাদাখের পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে চিনা চিনা সেনার আগ্রাসনের মধ্যেই সীমান্ত ইস্যুতে এবারও মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বেঙ্গালুরুর একটি অনুষ্ঠানে অমিত শাহ ইন্দো-তিব্বত বর্ডাল পুলিশ বা আইটিপিপি-র ভূয়সী প্রশংসা করেন। পলেন, তিনি সীমান্ত নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত, কারণ সেখানে ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ। যে সীমান্তে আইটিবিপি থাকে সেখানে এক ইঞ্চিও জমিও কেউ দখল করতে পারে না। বেঙ্গালুরুতে আইটিবিপি-র কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন অমিত শাহ।

আইটিবিপি কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে অমিত শাহ তাঁদের 'হিমবীর' বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেনস তারা কঠোর পরিশ্রম করে আমাদের সীমান্ত রক্ষার কাজ করছে। তাদের জন্য হিমবীর উপাধি পদ্মশ্রী বা পদ্মবিভূষণের থেকে অনেক বড়। 'আমরা কল্পনা করতে পারি না যে তারা মাইনাস ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কীভাবে আমাদের সীমানা রক্ষার কাজ করে যাচ্ছে। প্রবল ইচ্ছেশক্তি আর দেশপ্রেম থাকলে তবেই এজাতীয় কাজ করা সম্ভব হয়। ' অমিত শাহ বলেন অরুণাচল প্রদেশ, লাদাখ বা জম্মু ও কাশ্মীরের অদ্ভুত ভৌগলিক পরিস্থিতিতে আইটিবিপি-র জওয়ানরা কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন ভারতের মানুষ আইটিবিপি-র জওয়ানদের হিমবীর বলে ডাকে। অমিত শাহ বলেন বেসামরিক পুরষ্কারগুলি সরকারি খেতাব হলেও হিমবীর দেশের জনগণের দেওয়া উপাধি। তিনি বলেন, যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি আর অবহাওয়ার মধ্যেই আটিবিপি-র জওয়ানকার সাবলীলভাবে কাজ করতে অভ্যস্ত।

অমিত শাহ বলেন, 'অমি সর্বদা আশ্বস্ত। ভারত-চিন সীমান্ত সম্পর্কে আমি কোনও চিন্তা করি না। কারণ আমাদের আইটিবিপি-র সেনা জওয়ানরা সেখানে টহল দিচ্ছে। আর সেখানে তাই কেউ এক ইঞ্চিও জমি দখল করতে পারবে না।' এদিনের অনুষ্ঠানে অমিত শাহ জানিয়ে দেন, ভারত সরকার কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী বা সিআরপিএফ কর্মীদের তাদের সদর দফতরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোক জন্য ১০০ জিনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করেছে। এটির একটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে। তিনি আরও বলেন নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দিল্লির সরকার গঠন হওয়ার পর থেকেই সিআরপিএফ-র আবাসন ও স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নত ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এদিনের অনুষ্ঠানে অমিত শাহ পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের গুরুত্ব সম্পর্কেও নিজের মতামত তুলে ধরেন। তিনি বলেন,এটিকে প্রাপ্য গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গবেষণাকেও গুরুত্ব দেওয়া দরকার ছিল। তাহলে দেশে অপরাধ প্রবণতা অনেকটাই কমে যেত। তিনি বলেন ২৫-৫০ বছরের মধ্যেই সমাজের চিন্তা, লক্ষ্য অনেককিছুই বদলে যায়। আর সেই কারণেই অপরাধ দমনের জন্য পুলিশের গবেষণার কাজে মন দেওয়া জরুরি।

আরও পড়ুনঃ

ওল্ড মাইসোর দখলের দামামা বাজালেন অমিত শাহ, বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতাদের বাগে আনতে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের অনুমতি

রাহুল গান্ধী নিজেই নিরাপত্তা নির্দেশিকা 'তোয়াক্কা' করেন না, কংগ্রেসের চিঠির পর অভিযোগ আমলার

নতুনভাবে সেজে উঠবে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন, জানুন কী কী সুবিধে থাকবে এখানে

Share this article
click me!