২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) দিন অবসর গ্রহণ করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (President Ramnath Kovind) দেহরক্ষী ঘোড়সওয়ারি বাহিনীর (President Body Guard) প্রধান ঘোড়া 'বিরাট' (Virat)। রবিবার মন কী বাত (Mann Ki Baat)অনুষ্ঠানে বিরাটের দক্ষতা অবদানের কথা তুলে ধরলেন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।
৭৩ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) দিন অবসর গ্রহণ করেন 'বিরাট' (Virat)। দীর্ঘ ১৯ বছরের কর্মজীবনের পর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (President Ramnath Kovind) দেহরক্ষী ঘোড়সওয়ারি বাহিনীর (President Body Guard) প্রধান ঘোড়া 'বিরাট'। ২৬ কুচকাওয়াজের প্যারেডই ছিল তার কর্মজীবনের শেষ কাজের দিন। সেই কাজও সাফল্যের সঙ্গে পালন করার পর অবসর নেন ঘোড়সওয়ার বাহিনীর গর্ব ‘বিরাট’। রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী কমান্ড্যান্ট কর্নেল অনুপ তিওয়ারির সওয়ারি ছিল 'বিরাট'। বিদায় বেলায় রাজধানীর রাজপথে তৈরি হয়েছিল আবেগঘন মুহূর্তও। লাস্ট ল্যাপে দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) পিঠ চাপড়ানির মধ্যে দিয়েই পূর্ণ সম্মানের মধ্যে আস্তাবলে অবসর জীবন কাটাতে ফিরে যায় 'বিরাট'। যেই দৃশ্য মন ছুয়ে গিয়েছিল সকলের।
সেই 'বিরাট' প্রসঙ্গ উঠে এল প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'মন কী বাত' (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানেও। যেখানে প্রকৃতির অন্যান্য জীবেদের প্রতি ভারতবাসীর (Indian) প্রেম, ভালোবাসা, সহানুভূতির কথা বলতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দেহরক্ষী ঘোড়সওয়ারি বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ঘোড়া 'বিরাট' কথা বলেন মোদী। একইসঙ্গে তুলে ধরেন তার দক্ষতা, অবদানের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন,'প্রজাতন্ত্রে দিবসের প্য়ারেডে প্রেসিডেন্ট বডি গার্ডের চার্জার ঘোড়া 'বিরাট' শেষ বার প্যারেডে অংশ নেন। ঘোড়া বিরাট ২০০৩ সালে রাষ্ট্রপতি ভবন এসেছিল। আর প্রতিবার গণতন্ত্র দিবসের প্যারডে নেতৃত্ব দিয়েছে। যখন কোনও বিদেশী রাষ্ট্রদূত বা অতিথি রাষ্ট্রপতি ভবনে আসতেন তখন তাকে স্বাগত জানানোর প্রক্রিয়ায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতেন ঘোড়া 'বিরাট'। এই বছর আর্মি ডে-তে সেনা আধিকারিকরা ঘোড়া 'বিরাটকে' চিফ অফ আর্মি স্টাফ কমেন্ডেশন মেডেল দিয়ে সম্মানিত করেছেন। বিরাটের 'বিরাট' কাজের শেষে অবসর গ্রহণের পর পূর্ণ সম্মানের সঙ্গে তাকে বিদায় জানানো হয়।'
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি দেহরক্ষী ঘোড়সওয়ারি বাহিনীতে মোট ২০০ কুলীন গোত্রের ঘোড়া রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম সেরা ছিলেন 'বিরাট'। হ্যানোভারিয়ান প্রজাতির বাদামি রঙের তেজিয়ান ঘোড়া ছিল 'বিরাট'। এই গোত্রের আর পাঁচটি ঘোড়ার সঙ্গে বিরাটের মূল তফাৎ তার গঠন ও চেহারার ঔজ্জ্বল্যে। স্বভাবে শান্ত 'বিরাট' এত দিন দেশের শ্রেষ্ঠ নিরাপত্তা বাহিনীর অংশ হিসেবে কাজ করেছে। ঘোড়া 'বিরাটের' প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভালোবাসা বোঝা গিয়েছিল ৭৩ প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন রাজধানীর রাজপথে। 'মন কী বাত' অনুষ্ঠানে সেই প্রসঙ্গ তুলে আরও একবার প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন জীবের প্রতি তার প্রেম।