দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয় ইলেকটোরাল কলেজের মাধ্যমে হয়। মোট ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯০৩টি ভোট ক্ষমতা রয়েছে। প্রত্যেক সাংসদের ভোট ক্ষমতা ৭০৮। অন্য়দিকে, বিধায়কদের ক্ষেত্রে রাজ্যভিত্তিক ভোটের গুরুত্ব পরিবর্তিত হয়।
বৃহস্পতিবারই সামনে এসেছে পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের (5 State Assembly Election 2022) ফলাফল। সেখানে পঞ্জাব (Punjab Assembly Election 2022) ছাড়া বাকি চার রাজ্যেরই দখল নিজেদের হাতে রেখেছে বিজেপি। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর ও গোয়া সব রাজ্যেই গেরুয়া ঝড় অব্যাহত হয়েছে। কিন্তু, পঞ্জাবে একেবারেই ভালো ফল করতে পারেনি বিজেপি (BJP)। সেখানে বিজেপিকে কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে আম আদমি পার্টি (Aam Admi Party)। আর এই দারুণ ফলই আগামীদিনের নির্বাচনগুলির জন্য আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে বিজেপিকে। রাজ্যসভাতেও একদিকে যেমন ক্ষমতাবৃদ্ধি হচ্ছে, তেমনই নতুন রাষ্ট্রপতি (President) বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রেও শাসক দলের মতামতের পাল্লা ভারী হতে চলেছে। আর তাই এখন থেকেই নতুন রাষ্ট্রপতি খোঁজার (Search For President) কাজ শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।
উল্লেখ্য, ভারতীয় রাজনীতিতে (Indian Politics) প্রচলিত একটি কথা রয়েছে, দিল্লি দখলের পথ উত্তরপ্রদেশ হয়ে যায়। ফলে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে যে ফের বিজেপিরই জয়জয়কার হতে চলেছে সেই বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত গেরুয়া শিবির। আর তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গুজরাটও যাতে ফের নিজেদের হাতেই থাকে তার জন্য এখন থেকেই সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তারা। আর সেখানে প্রচারে গা ভাসিয়ে দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে বিশেষ প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী ৩১ মার্চই এই নির্বাচন হতে চলেছে। অন্যদিকে, আগামী জুলাই মাসেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হতে চলেছে।
আরও পড়ুন- কাশ্মীরে খুন বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান, পাল্টা অভিযানে নিকেশ জইশ কমান্ডার-সহ ৪ জঙ্গি
দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয় ইলেকটোরাল কলেজের মাধ্যমে হয়। মোট ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯০৩টি ভোট ক্ষমতা রয়েছে। প্রত্যেক সাংসদের ভোট ক্ষমতা ৭০৮। অন্য়দিকে, বিধায়কদের ক্ষেত্রে রাজ্যভিত্তিক ভোটের গুরুত্ব পরিবর্তিত হয়। উত্তরপ্রদেশের বিধায়কদের ভোটের মূল্যই সবথেকে বেশি, ২০৮। এবারের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৭০ টিরও বেশি আসনে জয়ী হওয়ায়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তাদের মতামতই সবথেকে বেশি গুরুত্ব রাখবে। তাই এখন থেকেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপির অন্দরে।
আরও পড়ুন- গুজরাটে বর্ণাঢ্য রোড শেষ করে মায়ের সঙ্গে একান্তে মোদী, খাওয়া-দাওয়া সারলেন বাড়িতেই
সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। তবে রামনাথ কোবিন্দকে (Ram Nath Kovind) রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরানো হবে নাকি তাঁকেই দ্বিতীয়বারের জন্য পুনর্বহাল করা হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব। এছাড়া এখনও পর্যন্ত আর কারও নাম সামনে আসেনি। দেশের সব রাষ্ট্রপতিকেই দু'বারের জন্য পুনর্বহাল করা হয়েছিল। শুধুমাত্র দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ চোলেই পরপর দুবার রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হননি।
আরও পড়ুন- 'কংগ্রেস চাইলে আমরা একসঙ্গে লড়তে পারি', ২০২৪ নিয়ে বড় বার্তা মমতার
জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতি কে হবেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব। তবে সব আলোচনার শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অবশ্য, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জোটসদস্যদের মতামতও গ্রহণ করা হতে পারে। ওয়াইআরএস কংগ্রেস ও নবীন পট্টনায়েকের বিজেডির সঙ্গেও কথা বলা হতে পারে।