আবেদনে বলেছিলেন, তাঁর স্ত্রী মহিলা নয়। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি প্রতারণার স্বীকার। তাই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দাায়ের করেছেন। মহিলা স্বামীর দাবি মহিলার চিকিৎসা রিপোর্ট ও পূর্ব ইতিহাসে বলা হয়েছে মহিলা লিঙ্গ যুক্ত ইম্পারফোরেট হাইমেন।
তাঁর স্ত্রী মহিলা নয় (wife not female)। তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এমনই দাবি করে এক ব্যক্তি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা (divorce case) দায়ের করলেন সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সংশ্লিষ্ট মহিলাকে দ্রুত মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিশাণ কৌল ও সুন্গরেশ।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা দায়ের হয়েছিল। গত ২৯ জুলাই মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি। তিনি আবেদনে বলেছিলেন, তাঁর স্ত্রী মহিলা নয়। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি প্রতারণার স্বীকার। তাই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দাায়ের করেছেন। মহিলা স্বামীর দাবি মহিলার চিকিৎসা রিপোর্ট ও পূর্ব ইতিহাসে বলা হয়েছে মহিলা লিঙ্গ যুক্ত ইম্পারফোরেট হাইমেন। তাই তিনি মহিলা হতেই পারেন না। স্বামীর এই আবেদনের পরই সুপ্রিম কোর্ট চার সপ্তাহের মধ্য মহিলাকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, শুধু মৌখিক প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতারণার অভিযোগ প্রতিষ্ঠা তারা করবে না। প্রয়োজন মহিলার মেডিক্যাল রিপোর্ট।
মামলাকারী জানিয়েছে, ২-১৬ সালে তাদের বিয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী সহবাসে রাজি হয়নি। প্রথমে স্ত্রী জানিয়েছিলেন তিনি ঋতুস্রাবের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু দিন ছয়েক পরে সেই ব্যক্তি মহিলার সান্নিধ্য পেতে চান। কিন্তু তখনও সেই ব্যক্তির কাছে আসতে অস্বীকার করেন স্ত্রী।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পিটিশনে বলা হয়েছে মহিলার সঙ্গে একাধিকবার ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন সেই ব্যক্তি। কিন্তু প্রত্যেকবারই কোনও না কোনও অজুহাতে পাশ কাটিয়ে যান স্ত্রী। অবশেষ স্বামী ঘনিষ্ঠ হন। তখনই তিনি দেখেন স্ত্রীর যোনিদ্বার অবরুদ্ধ রয়েছে। সেখানে রয়েছে শিশুদের মত ছোট্ট একটি লিঙ্গ। আবেদনকারী স্ত্রীকে মেডিক্যাল চেক-আপের জন্য নিয়ে গিয়েছিবেন। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় তাঁর স্ত্রী ইম্পারফোরেট হাইমেন নামে এরটি সমস্যায় আক্রান্ত। ইম্পরফোরেট হাইমেন একটি একটি অবস্থা যা মহিলাদের যোনিপথের খোলা অংশকে ঢেকে রাখে। কার্যত সেই মহিলা যৌন সঙ্গম করতে পারেন না।
আবেদনকারী আরও জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্ত্রীর শারীরিক অবস্থা ঠিক করার আবেদনও করেছিলেন চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু চিকিৎসক জানিয়েছিলেন এই অবস্থায় মহিলা গর্ভধারন করতে পারবে না। আবেদনকারী আরও জানান তিনি গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে। স্ত্রীকেও ফেরত পাঠিয়ে দেন। কিন্তু স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তারপর স্ত্রী আবারও তার কাছে ফিরে আসে।
কিন্তু তিনি প্রতারিত বোধ করছেন। তাই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন। পিটিশন অনুযায়ী মহিলার একবার অস্ত্রোপচার হয়েছিল। পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছিল ওই ব্যক্তি।
'বাড়ি ফিরতে চাই', ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করা ভারতীয় ছাত্রের ফোন বাবাকে
পাকিস্তান ভারতেকে যোগ্য জবাব দিতে পারত, ক্ষেপণাস্ত্র ইস্যুতে মন্তব্য ইমরান খানের
কানাডায় মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনা, ঘটনাস্থলে মৃত্যু পাঁচ ভারতীয় পড়ুয়ার