গুজরাতের পর ইতিমধ্যেই সিনেমাটির সমস্ত কর ছাড় দেওয়া হল মধ্যপ্রদেশেও। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সম্প্রতি এই নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দুঃখ-দুর্দশার প্রতিচ্ছবি নিয়ে তৈরি 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' সিনেমাটি ইতিমধ্যেই তুমুল আলোড়ন ফেলেছে গোটা দেশে। এদিকে গুজরাতের পর ইতিমধ্যেই সিনেমাটির সমস্ত কর ছাড় দেওয়া হল মধ্যপ্রদেশেও। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান সম্প্রতি এই নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে একটি টুইটও করেছেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, “দ্য কাশ্মীর ফাইলস ছবিটি কাশ্মীরি হিন্দুদের বেদনা, কষ্ট, সংগ্রাম এবং মানসিক আঘাতের একটি হৃদয়বিদারক গল্প নিয়ে তৈরি। এই ছবিটি আরও বেশি সংখ্যক মানুষের দেখা উচিত। তাই আমরা মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে এটিকে করমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে গিয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহলের অন্দরেও।
এই ক্ষেত্রে মনে রাখা ভালো মধ্যপ্রদেশেও বিপুল সংখ্যক কাশ্মীরি পণ্ডিত বাস করে। এই সমস্ত মানুষেরা উপত্যকায় নৃশংসতার পর কাশ্মীর ছেড়ে এখানে বসতি স্থাপন করেন। বিজেপি বিধায়ক রামেশ্বর শর্মাও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সঙ্গে ছবিটি দেখবেন বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, এই ছবিটি প্রতিটি ব্যক্তির দেখা উচিত যাতে মানুষ বুঝতে পারে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের প্রতি কীভাবে অবিচার করা হয়েছে। সম্প্রতি এই ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী এবং প্রযোজক অভিষেক আগরওয়ালও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পরে, অভিষেক বলেছিলেন যে কাশ্মীর গণহত্যার সময় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দেশত্যাগের উপর একটি চলচ্চিত্র তৈরি করার সুযোগ পেয়ে তিনি ধন্য মনে করছেন নিজেকে।
আরও পড়ুন- অসম-বাংলা সীমান্তে ট্রাক থেকে উদ্ধার অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারু, গ্রেফতার দুই পাচারকারী
আরও পড়ুন- বিএসএফ-র তৎপরতায় আটকাল পাচার, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাত ধরেই বাংলাদেশে ফিরে গেল ২ যুবতী
বিবেক তাকে রিটুইট করেছেন এবং লিখেছেন, "আমি আপনার জন্য খুব খুশি। অভিষেক বাবু আপনি ভারতের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সত্য উপস্থাপন করার সাহস দেখিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে #TheKashmirFiles-এর স্ক্রিনিং মোদিজীর নেতৃত্বে বিশ্বের সামনে এক নতুন স্বরূপ নিয়ে এসে হাজির করেছে।" এদিকে গুজরাত মধ্যপ্রদেশের পাশাপাশি ছবিটিকে হরিয়ানাতেও করমুক্ত করা হয়েছে। ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, দর্শন কুমার, পল্লবী জোশী এবং চিন্ময় মন্ডলেকার। এই চলচ্চিত্রটি নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিত, হিন্দুদের গণহত্যা এবং দেশত্যাগের গল্পের উপর তৈরি করা হয়েছে। তবে এর তথ্য নির্মাণ, সত্যতা, বাস্তব পটভূমি নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। আর তাতেই লেগেছে রাজনীতির আঁচ।