গত বছরের এপ্রিলে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট থেকে জামিন পান আরজেডি সুপ্রিমো। ২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় তিনি প্রায় তিন বছর জেলে ছিলেন।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের দ্বারা আরজেডি সভাপতি লালু প্রসাদকে দেওয়া জামিন বাতিল করার জন্য সিবিআইয়ের আবেদন শীঘ্রই শুনতে রাজি হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পাওয়া বিশদ অনুসারে, আগামী শুক্রবার অর্থাৎ ২৫ আগস্ট এই বিষয়ে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই. চন্দ্রচূড়ের কাছে জামিন বাতিলের আবেদনের জরুরি শুনানির আবেদন করে। ডোরান্ডা কোষাগার থেকে ১৩৯.৫ কোটি টাকা তোলার সাথে সম্পর্কিত পঞ্চম পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে লালু প্রসাদকে গত বছরের এপ্রিলে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট জামিন দেয়। সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই দুমকা এবং চাইবাসা কোষাগার থেকে প্রতারণামূলকভাবে তহবিল তোলার ক্ষেত্রে ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল এবং ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর তারিখের জামিন আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সিবিআইয়ের আবেদনে নোটিশ জারি করেছে।
সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ নিয়ে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেছেন যে আমরা আদালতে আমাদের মামলা উপস্থাপন করব। তারা আমাদের যতই বিরক্ত করুক না কেন, কিছুই হবে না। আমাদের করণীয় সম্পর্কে আমরা পরিষ্কার। সিবিআইকে আমরা ভয় পাই না। আমরা লড়াই করে জিতব।
রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে ঝামেলা বাড়তে পারে। সিবিআই তার জামিনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে, যা মঞ্জুর হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের এপ্রিলে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট থেকে জামিন পান আরজেডি সুপ্রিমো। ২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় তিনি প্রায় তিন বছর জেলে ছিলেন। এরপর সুপ্রিম কোর্টে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। সুপ্রিম কোর্ট এখন তা শুনতে রাজি হয়েছে।
ব্যাপারটা কি?
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি নিয়ে তোলপাড় হয়ে সারা দেশে। ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত লালু যাদব ক্ষমতায় থাকাকালীন ডোরান্ডা এবং অন্যান্য কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে পশুখাদ্য ও অন্যান্য খরচের ভুয়ো বিবরণ দেখানো হয়। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত বহু মামলা চলছে লালু যাদবের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে পাঁচটি মামলায় তার সাজা হয়েছে। এর জেরে জেলে যেতে হয়েছে লালু যাদবকে। তবে স্বাস্থ্যগত কারণে গত বছরের এপ্রিলে জামিন পান তিনি। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর লালুও ডিসেম্বরে সিঙ্গাপুরে কিডনি প্রতিস্থাপন করান।