দুটি ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার ভোর থেকে ডাংরি এলাকার প্রধান চত্বরে মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করছে মানুষ। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাজোরি বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীদের চোখে জলের পাশাপাশি ক্ষোভও রয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার কেঁপে উঠল জম্মু বিভাগের রাজোরি জেলা। রববার সন্ধ্যায় জেলার ডাংরি এলাকায় জঙ্গিরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে চারজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং এই সময় ছয়জন আহত হয়। এদিকে সোমবার সকালে নিহতের পরিবারের বাড়ির কাছে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। এই বিস্ফোরণে এক শিশু প্রাণ হারিয়েছে এবং সাত থেকে আটজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দুটি ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার ভোর থেকে ডাংরি এলাকার প্রধান চত্বরে মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করছে মানুষ। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার রাজোরি বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীদের চোখে জলের পাশাপাশি ক্ষোভও রয়েছে। জনগণের দাবি রাজোরি জেলার জেলা প্রশাসক ও রাজোরির এসএসপিকে বদলি করা হোক। এর পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের হাতে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছে জনগণ। এদিকে বিস্ফোরণের খবরে তার ক্ষোভ আরও বেড়েছে। সেখানেই গোটা এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ কর্মীরা জঙ্গিদের খোঁজে ব্যস্ত।
অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেন, 'আমি রাজৌরিতে কাপুরুষোচিত জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমি জনগণকে আশ্বস্ত করছি যে এই জঘন্য হামলার পিছনে যারা আছে তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।
মৃতের পরিবারকে দশ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা
সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্য একটি পোস্টে, লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা সন্ত্রাসী হামলায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা এবং একটি সরকারি চাকরি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গুরুতর আহতদের এক লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি আহতদের সবরকম চিকিৎসা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন এলজি মনোজ সিনহা।
রবিবার জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি সেক্টরে জঙ্গিরা সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালায়, এতে ঘটনাস্থলেই তিন সাধারণ মানুষ মারা যায়। একই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে ও জঙ্গিদের খোঁজে অভিযান চলছে।
হাইব্রিড জঙ্গিদের হাতে টার্গেট কিলিং বন্ধ করতে, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ একটি নতুন পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এ জন্য পুলিশ নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (SoP) এবং এরিয়েল ডমিনেশন প্ল্যান (ADP) বাস্তবায়ন করেছে।
এই নতুন পরিকল্পনার উদ্দেশ্য কাশ্মীর পণ্ডিত এবং অ-স্থানীয়দের টার্গেট কিলিং থেকে বাঁচানো এবং হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা। তবে তাতেও শেষরক্ষা হচ্ছে না।
রবিবার কাশ্মীরে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারালেন তিন নিরপরাধ নাগরিক। ঘটনাস্থলেই তিন সাধারণ মানুষ মারা যায়। একই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে ও জঙ্গিদের খোঁজে অভিযান শুরু করে।
নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে এবং এলাকাটিকে সেনার অস্থায়ী ঘাঁটিতে পরিণত করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, রাজৌরির ডাংরি এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহতও হয়েছেন।