পুলিশ হেফাজতে থাকা এক যুবকের মৃত্যুতে আগেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজস্থানে। এবার মৃত যুবকের বউদিকে থানায় আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে।
গত ৬ জুলাই রাজস্থানের চুরুতে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয় বাইশ বছরের এক যুবকের। যেদিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেদিন রাতেই থানার মধ্যে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
এরই মধ্যে মৃতের দাদা অভিযোগ করেছেন, 'গত ৩০ জুন পুলিশ আমার ভাইকে চুরির অভিযোগে ধরে নিয়ে যায়। এর পরে ৩ জুলাই আমার ভাইকে নিয়ে পুলিশ বাড়িতে আসে। ওই ভাইয়ের সঙ্গেই আমার স্ত্রীকেও তারা ধরে নিয়ে যায়। পরে ৬ জুলাই রাতে পুলিশ আমার ভাইয়ের উপরে অত্যাচার করে তাঁকে খুন করে। আমার স্ত্রী গোটা ঘটনার সাক্ষী থাকায় তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়।' এখানেই শেষ নয়, নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর নখ উপড়ে নেওয়ার পাশাপাশি চোখ এবং আঙুলেও আঘাত করে পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ, গত ১০ জুলাই পর্যন্ত থানায় আটকে রাখা হয় ওই নির্যাতিতাকে।
ওই যুবকের ম়ৃত্যুর পরেই থানার কর্তব্যরত অফিসার এবং সাত কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করেন পুলিশ সুপার। এর পরে অবশ্য পুলিশ সুপারকেই কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠায় রাজ্য সরকার। ওই পুলিশ সার্কেলের অফিসারকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বাবা সাংসদ দেবের অফিস ইন চার্জ, গণধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে
যদিও ওই যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। চুরুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দাবি, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ৬ জুলাই গ্রেফতার করার পরে রাতে ওই যুবক অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে ময়নাতদন্তে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়াকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে মৃত্যুর আগে পারিপার্শ্বিক যাবতীয় তথ্যপ্রমাণই বিচারবিভাগীয় তদন্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- পড়াশোনায় ভাল বোন, হিংসায় লাগাতার গণধর্ষণ চার দাদার
অন্যদিকে মৃত যুবকের বউদির গণধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসার পরেই জয়পুরে একটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। পরিবারের পক্ষ থেকে দোষীদের শাস্তি চেয়ে আবেদনও জানানো হয়েছে। নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁর মেডিক্যাল টেস্টও করা হয়েছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চকে অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।