Subterranean Creature: মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হাজার পায়ের কেঁচো, বিজ্ঞানীদের কাছে বিস্ময়

থ্রেডের মত ফ্যাকাশে রঙের কেন্ন জাতীয় প্রাণী। এটির দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন ইঞ্চি। এটি চওড়ায় ০.৯৫ মিলিমিটার। শঙ্কু যুক্ত মাথা রয়েছে। ঠোঁটের কাছে আকৃতি অনেকটাই বড়। মাথার মানসে একটি বড় অ্যান্টেনার মত জিনিস পয়েছে।


এক অদ্ভুদ দর্শন প্রাণী সন্ধান পাওয়া গেল সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় (Austraila)।  যার ১হাজার ৩০৬টি পা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার একটি খনি এলাকায় অনুসন্ধানমূলক ড্রিলের গর্ত খোঁড়ার সময়ই মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হয়েছে এজাতীয় অদ্ভূত দর্শন প্রাণীটি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এটি একটি অন্ধ কেন্ন (Milliped) প্রজাতির প্রাণী। তবে এটি লম্বায় তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। 

থ্রেডের মত ফ্যাকাশে রঙের কেন্ন জাতীয় প্রাণী। এটির দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন ইঞ্চি। এটি চওড়ায় ০.৯৫ মিলিমিটার। শঙ্কু যুক্ত মাথা রয়েছে। ঠোঁটের কাছে আকৃতি অনেকটাই বড়। মাথার মানসে একটি বড় অ্যান্টেনার মত জিনিস পয়েছে। সম্ভবত এটি কেঁচটির সংবেদনশীল অঙ্গ হিসেবে কাজ করে। চোখ নেই তাই  এই অঙ্গটি  গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। 

Latest Videos

সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে প্রকাশিত তথ্য় অনুযায়ী গবেষকরা জানিয়েছেন এর আগে যেসব কেঁচ জাতীয় প্রাণী দেখতে পাওয়া গেছে সেগুলির কোনটিরও হাজার পা ছিল না। যদিও ইংরাজিতে মিলিপিড নামের অর্থই হল হাজার ফুট। এই প্রাণীটির নাম ইউমিলিপিস পারসেফোন। এজাতীয় প্রাণীর সন্ধান খুব কম পাওয়া গেছে। এজাতীয় খুব কম প্রাণী রয়েছে। এগুলি সাধারণত ভূগর্ভে বাস করে। এগুলির দৈর্ঘ্য হয় প্রায় ৬০ মিটার। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের পায়ের সংখ্যা অনেক বেশি থাকে। 


অস্ট্রেলিয়ার পার্থের বিজ্ঞানী ব্রুনো বুজাটো বলেছেন, 'আমার মতে এটি একটি অত্যাশ্চর্য প্রাণী। বিবর্তনের একটি বিস্ময়।' এখনও পর্যন্ত যেসব মিলিপিড আবিষ্কার হয়েছে এটি তারমধ্যে সবথেকে নতুন। এই প্রাণী মাটির অনেক নিচ পর্যন্ত চলে যেতে পারে। মাটির রয়ের মিটার নিচে গর্ত করে থাকতে পারে। শুকনো মাটি ও কাঠোরভূখণ্ডেও এই প্রাণীগুলি বেঁচে থকতে পারে। ভূপৃষ্ঠের খুব কাচাকাছি কোনও মিলিপিড জাতীয় প্রাণী থাকে না বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানী। 

এখনও অবধি  সবথেকে লেগিস্ট প্রাণীর তকমা ছিল ক্যালিফোর্নিয়া মিলিপিডের। সেটির ৭৫০টি পা রয়েছে। সেটি ইকৃলাকমে প্লেনিপল প্রজাতির। গবেষকরা মনে করছেন এতগুলি পা বিকশিত হওয়া ইউমিলিপকে সাহায্য করেছিল। তাঁরা মনে করেছেন অংশ পা মিলিপিডদের বাসস্থানের মাটিতে ছোট ছোট ফাঁক ও ফাটলের মাধ্যমে তাদের দেহকে সমানের দিকে ঠেলে নিয়ে যেতে যাহায্য করে। এজাতীয় প্রাণীরা লোহা, আগ্নেয় শিলা মধ্যেই স্বাচ্ছন্দ্যে বাস করতে পারে। 

এই কেঁচ জাতীয় প্রাণীটি পাওয়া গেছে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড ফিল্ডস এসপারেন্স অঞ্চলে এমন একটি এলাকায় আবিষ্কৃত হয়েছিল যেখানে খনি শ্রমিকরা লিথিয়াম ও ভ্যানডিয়ামসহ সোনা ও অন্যান্য খনিজগুলি জন্য খনন করছিল। গবেষণায় চারটি ইউমিলিপস উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেগুলির কোনওটাই জীবিত অবস্থায় ছিল না।

Salman Khan House: বাড়ি ভাড়া দিয়েছেন সলমন খান, জানেন ভাইজানের বাড়িতে থাকতে গেল কত টাকা লাগবে

COVID Record In UK: করোনার লাল চোখ ব্রিটেনে, রেকর্ড গড়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা 

Omicron Symptom: কী করে বুঝবেন আপনি ওমিক্রনে আক্রান্ত, টিপস দিলেন বিশেষজ্ঞরা

Share this article
click me!

Latest Videos

Rashifal 2025: শনিবার ৪ জানুয়ারি এই রাশিদের জীবনে ঘনিয়ে আসছে অন্ধকার, দেখে নিন আজকের রাশিফল
শ্যামসুন্দরী মন্দিরে গিয়ে সোনার গয়না চাওয়ার অভিযোগ Kunal Ghosh-এর বিরুদ্ধে, ভিডিও ভাইরাল
'তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই প্রান গেল তৃণমূল কাউন্সিলারের' বিস্ফোরক মন্তব্য Sujan Chakraborty-র
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে আরও এক Bangladeshi অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার
পাসপোর্ট চক্রে গ্রেফতার Lalbazar-র প্রাক্তন পুলিশকর্মী! চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি Ashok Nagar-এ