হিউস্টনে ভারতীয় সময় রাত বারটার সময়ে এনআরজি স্টেডিয়ামে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে এবারের মার্কিন সফর ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ এবারে বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ধরা পড়ল প্রধানমন্ত্রীর অন্য আর এক গুণের কথা।
রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি আঁকা বা কবিতা লেখার গুণের কথা অনেকেই জানেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও যে কবিতার লেখেন তা হয়তো অনেকেরই অজানা ছিল। তবে এবার হিউস্টনের মাটিতে একটি স্বরচিত কবিতা। তবে প্রেক্ষাপট ছিল সন্ত্রাসবাদ দমন। এদিন হাউডি মোদীর মঞ্চেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক জোট হয়ে লড়াইয়ের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। হাউডি মোদীর মঞ্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতেই ভারত মার্কিন সম্প্রদায়ের সামনেই ভারত-পাক সীমান্তে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার বিষয়ে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।
এই প্রসঙ্গেই নরেন্দ্র মোদী বলেন এই বিষয়ে তিনি একটি কবিতা লিখেছেন, তারপর শোনালেন তাঁর কবিতা, 'ইয়ে যো মুশকিলো কা অম্বর হ্যায়, ওহি তো মেরে হৌঁসলোকি মিনার হ্যায়।' বাংলায় যার অর্থ দাঁড়ায়, যে আকাশে বাধা-বিঘ্ন ঘনিয়ে রয়েছে সেই আকাশই আমার সাহসের মিনার। মোদীর এই কবিতার পঙক্তি দুটিতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা ফুটে উঠেছে। তাঁর কবিতা পাঠের পর করতালিতে ফেটে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম।
আরও পড়ুন- হিউস্টনে প্রধানমন্ত্রী, এক ঝাঁক অনাবাসী ভারতীয় উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন মোদীকে
আরও পড়ুন- নাগালে 'টাইগার' মোদী, উচ্ছ্বসিত হিউস্টনের শিখ সম্প্রদায়, এল '৮৪-এর গণহত্যার প্রসঙ্গও
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভূয়সী প্রশংসা ভারতের, জলবায়ু সংক্রান্ত উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর জয়জয়কার
পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ দমনের লড়াইয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভুমিকাকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি উপস্থিত সকলকে উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান জানাতে অনুরোধ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতে অনেক কিছুরই বদসল ঘটেছে এবং ভারত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।