ইয়েমেনের ধামার প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত হাউতি বিদ্রোহীদের দ্বারা একটি আটককেন্দ্রে রবিবার একাধিক এয়ার স্ট্রাইক চালানো হয়েছে বলে খবর। আর এর ফলে অন্ততপক্ষে ১০০ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। সেইসঙ্গে আরও অনেকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এমনটাই জানানো হয়েছে হাউতি বিদ্রোহীদের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে।
এদিন ইয়েমেন-এর রেড ক্রস প্রতিনিধি দলের প্রধান ফ্রান্জ রচেনস্টাইন এসেছিলেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাঁর মন মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ডিটেনশন সেন্টারের খুব কম মানুষই বেঁচে রয়েছে। পাশাপাশি রেড ক্রসের তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আটক কেন্দ্রে প্রায় ১৭০ জন বন্দি ছিল। এর মধ্যে ৪০ জনকে উদ্ধার করা হলেও তাঁদের অবস্থা অত্যন্তই আশঙ্কাজনক। তারা বর্তমানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিরা প্রাণ হারিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চারিদিকে মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে, পাশাপাশি বিপুল এই ক্ষয়ক্ষতি চাক্ষুস করাটা কার্যতই একটা বড় ধাক্কা। তিনি আরো বলেন ইয়েমেন-এর ডেটা প্রজেক্ট-এর তরফে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, চলতি বছরে এটাই সবচেয়ে বড় এয়ার স্ট্রাইক। এই ভয়াবহ এয়ার স্ট্রাইক আন্তর্জাতিক মহলেও যথেষ্ঠ সমালোচনার মুখে পড়েছে। ইমেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন রবিবারের এয়ার স্ট্রাইকের মুল লক্ষ্য ছিল ধামার প্রদেশের একটি কলে, যা হাউতি বিদ্রোহীদের আটককেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
গৃহবন্দি করে রাখা হোক, তিহার জেলে নয়, সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি চিদম্বরমের
শিশুদের মিড ডে মিলে নুন-রুটি খাওয়ানোর খবর ভুয়ো, যোগী সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ
গাড়ি শিল্পকে বাঁচাতে নতুন পদক্ষেপ কেন্দ্রের, কমানো হতে পারে জিএসটি
এই প্রসঙ্গে একজন আহত বন্দি নাজম সালেম হাসপাতালে শুয়ে জানিয়েছেন, তখন প্রায় মাঝরাত, তারা সকলেই ঘুমিয়েছিলেন। তার কথায় সেই সময়ে তিন থেকে চারটি বা ছয়টি এয়ারস্ট্রাইক চালানো হয়েছিল। কারাগারটি লক্ষ্য করেই তারা হামলা চালিয়েছিল। তবে ঠিক কতবার এয়ার স্ট্রাইক হয়েছিল তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না তিনি।