বিবাহবার্ষিকীর দিনই ফাঁসির সাজা ঘোষণা, জানেন শেখ হাসিনার স্বামী কে ছিলেন?

Published : Nov 17, 2025, 07:29 PM IST

Sheikh Hasina Death Verdict News: নিজের বিবাহ বার্ষিকীর দিনেই মৃত্যুদণ্ডের সাজার রায়। জানেন শেখ হাসিনার স্বামী কে ছিলেন? বিস্তারিত জানতে দেখুন সম্পূ্র্ণ ফটো গ্যালারি…

PREV
15
বিবাহ বার্ষিকীর দিনেই ফাঁসির সাজা হাসিনার

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীবনে যেন ১৭ নভেম্বর দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি তিনি কোনওভাবেই ভুলতে পারেন না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) তাঁর বিরুদ্ধেই মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে বলে নয়, বরং এই দিনটি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। আজ থেকে ঠিক ৫৮ বছর আগে ১৭ নভেম্বরেই শেখ হাসিনার বিয়ে হয়েছিল বিশিষ্ট বাঙালি পদার্থবিদ এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে। আর আজ তাদের ৫৮তম বিবাহ বার্ষিকী। আর আজকের দিনেই হাসিনার ফাঁসির সাজা শোনাল বাংলাদেশ আদালত।

25
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে এই রায় ঘোষণার অভিযোগ

বাংলাদেশে হাসিনার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। নেটনাগরিকদের একাংশের অভিযোগ, শেখ হাসিনাকে দোষী প্রমাণ করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবেই ১৭ নভেম্বর তারিখটি ঠিক করা হয়েছে। কারণ, ২৩ অক্টোবর বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর রায় ঘোষণার প্রাথমিক তারিখ ঠিক করা হয়েছিল ১৪ নভেম্বর। কিন্তু ১৭ নভেম্বর হাসিনার বিবাহ বার্ষিকীর দিনেই ইচ্ছাকৃত ভাবে ইউনূস সরকার এই রায় দিয়েছে। যার বিরোধিতা করেছেন শেখ হাসিনা নিজেই। 

35
কে ছিলেন শেখ হাসিনার স্বামী?

বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় কন্যা শেখ হাসিনার বিয়ে হয়েছিল ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে। ওয়াজেদ মিয়া পরে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান হন এবং পদার্থবিজ্ঞান ও রাজনীতি নিয়ে একাধিক গ্রন্থ রচনা করেন। এর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বইও। শেখ হাসিনা ও ওয়াজেদ মিয়ার দুটি সন্তান—পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং কন্যা সাইমা ওয়াজেদ পুতুল বর্তমান। তবে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক মাস পরই সেই বছরের মে মাসে এম এ ওয়াজেদ মিয়া প্রয়াত হন। 

45
কেন বাছা হলো ১৭ নভেম্বর?

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) রায় ঘোষণার জন্য নির্ধারিত প্রথম তারিখ ছিল ১৪ নভেম্বর। পরে তা পরিবর্তন করে ১৭ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়। ফেসবুকে Dhaka Chronicles লিখেছে, “শেখ হাসিনার বিবাহবার্ষিকীর দিনেই ঢাকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায় দিচ্ছে।” বাংলাদেশভিত্তিক দৈনিক দেশ রূপান্তর তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রায় ঘোষণার জন্য ১৭ নভেম্বর তারিখ বেছে নেওয়া নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে, এ বিষয়ে জনমত ভিন্ন ভিন্ন—কেউ এটিকে নিছক কাকতালীয় বলছেন, আবার কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও মন্তব্য করছেন।

55
কার্যকর হলো হাসিনার মৃত্যুদণ্ড?

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল। রায় ঘোষণা হতেই হাততালিতে ফেটে পড়ে আদালতকক্ষ। বিচারপতি সকলেই শান্ত থাকতে অনুরোধ করেন। যদিও আগেই ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এই আশঙ্কাই করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন তাঁর মা হাসিনাকে সর্বোচ্চ শান্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে পারে বাংলাদেশ সরকার। তবে বর্তমানে শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন। তাই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার রায় কার্যকর করতে পারবে না বলেও আশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। শেখ হাসিনার পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। অন্য অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার আল - মামুন- কিছু ক্ষেত্রে ক্ষমা প্রদর্শন করে তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

Read more Photos on
click me!

Recommended Stories