
ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে। এক রাতের হিংসাত্মক অস্থিরতার পর, যেখানে ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলোর মতো মিডিয়া হাউসের অফিসে হামলা চালানো হয়, বিক্ষোভকারীদের রোষ থেকে রক্ষা পায়নি শেখ মুজিবুর রহমানের আংশিক ভাঙা বাড়িও। হাদির মৃত্যুর পরই বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধুর বাড়ির বাকি অংশ ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে এবং সেখানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি পোস্টারে আগুন ধরিয়ে দিতে দেখা যায়।
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর দেশজুড়ে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়লে, ইনকিলাব মঞ্চ জনগণকে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানায়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এক ফেসবুক পোস্টে সংগঠনটি বলেছে: "ধ্বংস এবং আগুনের মাধ্যমে কিছু গোষ্ঠী বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে চায়। তারা আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে খর্ব করতে চায়। আপনাদের বুঝতে হবে -- ৩২ এবং ৩৬ এক নয়।" পোস্টটিতে আরও বলা হয়: "ফেব্রুয়ারির নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, দেশে অস্থিরতা তৈরি হলে আসলে কার লাভ, তা ভেবে দেখুন। বাংলাদেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারের সঙ্গে পুরোপুরি সহযোগিতা করুন এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকুন।"
এদিকে, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার অফিসে ভাঙচুরের পর, ছাদে আটকে পড়া এক সাংবাদিক সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। বিডিনিউজ২৪-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই সাংবাদিক জানান, প্রথম আলো অফিসে হামলা চালানোর পর উত্তেজিত জনতার একটি অংশ দ্য ডেইলি স্টার ভবনের দিকে এগোতে শুরু করলে বাইরে থেকে একটি ফোন কলের মাধ্যমে তাদের সতর্ক করা হয়। সতর্কবার্তা পেয়ে নিউজরুমের কর্মীরা বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে, জনতা নিচতলায় পৌঁছে যায় এবং ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার আগে ভাঙচুর শুরু করে। ঘন ধোঁয়ার মধ্যে, একদল সাংবাদিক নিচে নামার চেষ্টা ছেড়ে দিয়ে ১০ তলার ছাদে পালিয়ে যান। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে নিচতলার আগুন নেভান। চারজন দমকলকর্মী ছাদে উঠে আটকে পড়াদের উদ্ধার করেন। এই হামলার পর, শুক্রবার প্রথম আলো এবং দ্য ডেইলি স্টার প্রকাশিত হবে না।