আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশের স্পিনঘর জেলার একটি মসজিদে বিস্ফোরণ হয়। এই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে তিনজনের।
ভয়াবহ বিস্ফোরণে কাঁপল আফগানিস্তান (Afghanistan)। আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশের (Nangarhar province) স্পিনঘর জেলার (Spin Ghar district) একটি মসজিদে বিস্ফোরণ(Blast at mosque) হয়। এই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে তিনজনের। মসজিদের ইমামসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন বেলা দেড়টা নাগাদ এই বিস্ফোরণ হয়। নানগারহার প্রদেশ ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর মুক্তাঞ্চল। তবে এখনও কোনও গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।
ওই এলাকার বাসিন্দা অটল শিনওয়ারি জানান, দুপুর দেড়টার দিকে বিস্ফোরণ ঘটে। যখন মসজিদের ভিতরেই বিস্ফোরক রাখা ছিল, যা থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। যখন বিস্ফোরণ হয়, তখন শুক্রবারের নমাজ চলছিল। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিক। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আফগানিস্তানে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তালিবানরা বারবার যে দাবি করে এসেছে, আফগানিস্তানে তারা শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে, সেই দাবি যে মিথ্যে, তা প্রমাণিত।
একজন স্থানীয় নাগরিক ওয়ালি মোহাম্মদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ইমামের রোস্ট্রামের কাছে একটি লাউডস্পীকারে একটি বোমা লুকিয়ে রাখা ছিল। যখন স্পিকারটি আজান বাজানোর জন্য চালু করা হয়েছিল, তখনই বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয় হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বলেন, "এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত, ১৫ জন আহত হয়েছে।"
উল্লেখ্য, ইসলামিক স্টেট-খোরাসান, আইসিস গোষ্ঠীর স্থানীয় শাখা, প্রথমে নানগারহার প্রদেশে ঘাঁটি গাড়ে। ২০১৫ সালে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্বীকৃতি পায়। গোষ্ঠীটির আফগানিস্তানে তুলনামূলকভাবে ছোট কিন্তু শক্তিশালী উপস্থিতি ছিল এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশের সবচেয়ে মারাত্মক কিছু হামলার জন্য দায়ী ছিল এই গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠী একাধিকবার মসজিদ, মাজার, পাবলিক স্কোয়ার এবং এমনকি হাসপাতালে সাধারণ মানুষকে হত্যা করার জন্য দায়ি।
Rahul Gandhi-হিন্দুত্ব মানেই শিখ-মুসলিমকে পেটানো, বিজেপিকে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর
Terrorists Killed- সাফল্যের তালিকা, চলতি বছরে সেনা-সিআরপিএফের হাতে খতম ১৩৮ জঙ্গি
Non Veg Food-এই শহরে আর প্রকাশ্যে বিক্রি করা যাবে না মাছ-মাংস, জারি নয়া নিয়ম
মসজিদে সুন্নি মুসলমানরা উপস্থিত ছিলেন বলে খবর। তালিবানদের দখলের পর থেকে হামলাগুলো শিয়াদের মসজিদে হামলা করা হয়েছিল। আইএস এবং তালfবান উভয়ই কট্টরপন্থী সুন্নি ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠী, তারা ধর্ম ও কৌশলের বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে, যার ফলে উভয়ের মধ্যে প্রচণ্ড দ্বন্দ্ব রয়েছে।
১৫ই অগাষ্ট তালিবানের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে, আইসিস কাবুল বিমানবন্দরে একটি সহ একাধিক রক্তক্ষয়ী হামলার দায় স্বীকার করেছে। ততদিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলি তাদের নাগরিকদের এবং সেনাদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে। কাবুল বিমানবন্দরে হামলার ফলে মারা যান ১৩ জন মার্কিন সেনা। এই বিস্ফোরণে একদিনে যা ক্ষতি হয়, তা ২০১১ সালের পর পেন্টাগনের জন্য সবচেয়ে বড় ছিল।