সংক্ষিপ্ত
প্রকাশ্যে আর বিক্রি করা যাবে না কোনও আমিষ জাতীয় খাবার। যদি একান্তই বিক্রি করতে হয়, তবে তা করতে হবে রেখে ঢেকে।
শিব ঠাকুরের আপন দেশে, আইন কানুন সর্বনেশে। তা শিব ঠাকুর না বলে নরেন্দ্র মোদী বললেও অত্যুক্তি হয় না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতে (Gujarat) জারি হয়েছে এক আজব নিয়ম। সে রাজ্যের অন্যতম বড় শহর ভাদোদরাতে (Vadodara) প্রকাশ্যে আর বিক্রি করা যাবে না কোনও আমিষ জাতীয় খাবার (Non-veg food)। যদি একান্তই বিক্রি করতে হয়, তবে তা করতে হবে রেখে ঢেকে। রাস্তার কোনও ফেরিওয়ালাকে যদি প্রকাশ্যে আমিষ জাতীয় খাবার বিক্রি করতে দেখা যায়, তবে মিলবে কড়া শাস্তি।
ভাদোদরা রাস্তার ফেরিওয়ালাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য একটি অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। যে সব হকাররা আমিষ খাবার খোলা বিক্রি করে, তাদের টার্গেট করা হয়েছে। স্থানীয় রিপোর্ট অনুসারে, ভাদোদরার পুর আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে খাবারের স্টলগুলি 'দৃশ্যমানভাবে' আমিষ খাবার বিক্রি না করে। এই ধরনের স্টল এবং ঠেলাগাড়ির মালিককে নিশ্চিত করতে হবে যে মাংস উপযুক্তভাবে ঢাকা দেওয়া রয়েছে। ডিম থেকে তৈরি খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করা গাড়ির ক্ষেত্রেও এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।
গুজরাতের আরেকটি শহর রাজকোটের প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে যে আমিষ খাবার বিক্রির স্টলগুলিকে নির্দিষ্ট হকিং জোনে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে এবং প্রধান রাস্তাগুলি থেকে দূরে রাখতে হবে। ভাদোদরায় নির্দেশাবলী মৌখিকভাবে পাস করেছিলেন ভাদোদরা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের স্থায়ী কমিটির চেয়ারপার্সন হিতেন্দ্র প্যাটেল। যদিও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, যে প্যাটেলের নির্দেশাবলী কীভাবে কার্যকর করা হবে তা নিয়ে এখনও কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে।
একটি রিপোর্টে প্যাটেলকে উদ্ধৃত করে জানানো হয়েছে, নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে সমস্ত খাবারের স্টল, বিশেষ করে যারা মাছ, মাংস এবং ডিমের মতো আমিষ খাবার বিক্রি করে, তাদের উচিত স্বাস্থ্যবিধির কারণে খাবারগুলি ভালভাবে ঢেকে রাখা। তা নিশ্চিত করতে পারলেই এই খাবরাগুলি বিক্রি করা যাবে। অন্যদিকে মূল সড়ক থেকে তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে, কারণ এই স্টল বা ঠেলাগাড়ির জন্য যানজট তৈরি হয়, যা যাত্রীদের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
Rahul Gandhi-হিন্দুত্ব মানেই শিখ-মুসলিমকে পেটানো, বিজেপিকে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর
Terrorists Killed- সাফল্যের তালিকা, চলতি বছরে সেনা-সিআরপিএফের হাতে খতম ১৩৮ জঙ্গি
এরই সঙ্গে ধর্মীয় আবেগের বিষয়টিও জুড়েছেন হিতেন্দ্র প্যাটেল। তিনি বলেন বিক্রেতাদের নিশ্চিত করতে হবে যে তাদের স্টলের পাশ দিয়ে যাওয়া কারও কাছে কোনও আমিষ জাতীয় খাবার যেন দৃশ্যমান না হয়। কারণ এটি অনেকের ধর্মীয় অনুভূতির সাথে জড়িত হতে পারে। বছরের পর বছর ধরে আমিষ খাবার সম্পূর্ণ খোলা জায়গায়, খোলা ভাবে বিক্রি করার চল চলে আসছিল। তবে সময় এসেছে এই নিয়মকে সংশোধন করার।