১২ বছর আগেই এসেছিল করোনাভাইরাস-এর ভবিষ্যদ্বাণী, তাহলে কি সত্যিই এবার পৃথিবীর শেষ

এর আগে এক থ্রিলার উপন্যাসে মিলেছিল করোনাভাইরাসের আভাস

এবার একেবারে করোনাভাইরাস মহামারীর স্পষ্ট ভবিষ্যদ্বাণী মিলল

পৃথিবী ধ্বংসের বার্তা দিয়ে ১২ বছর আগেই করোনার সতর্কতা এসেছিল

'এন্ড অব ডেজ' নামে এক বইয়ে এমনটাই দেখা যাচ্ছে

 

amartya lahiri | Published : Mar 5, 2020 4:16 AM IST / Updated: Mar 05 2020, 09:52 AM IST

 

এর আগে ডিন কুনজ-এর লেখা 'দ্য আইস অব ডার্কনেস' বইয়ে মিলেছিল করোনাভাইরাসের ভবিষ্যদ্বাণী। সেটি ছিল একটি খ্রিলার উপন্যাস। অর্থাৎ মনের কল্পনা। এবার কিন্তু কল্পনা নয়, একেবারে পৃথিবী ধ্বংসের বার্তা দিয়ে স্পষ্ট করোনাভাইরাস মহামারীর ভবিষ্যদ্বাণী মিলল আরও একটি বইয়ে। বইটির নাম 'এন্ড অব ডেজ' অর্থাৎ, দিন শেষ বা দিন ফুরিয়ে আসছে। সিলভিয়া ব্রাউন বলে এক মহিলার লেখা এই বইটিতে কী কী ভাবে পৃথিবীর বা সভ্যতার পরিসমাপ্তি ঘটতে পারে সেই সম্পর্কে আগাম আভাস দেওয়া হয়েছে। তাতেই একেবারে গোটা গোটা অক্ষরে এই বিশ্বজোড়া মহামারীর কথা বলা হয়েছিল।

আরও পড়ুন - করোনাভাইরাস LIVE Updates: আক্রান্ত ২৯ জন,ভারতে জারি উচ্চ সতর্কতা

বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০০৮ সালে। বইটির প্রচ্ছদের এবং যে অংশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, সেই পৃষ্ঠাটির একটি ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে যা লেখা আছে, তা পড়লে চমকে উঠতে হয়। বইটির ওই অংশে বলা হয়েছে, '২০২০ সালের মধ্যে নিউমোনিয়া জাতীয় একটি মারাত্মক রোগ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে এবং সমস্ত পরিচিত চিকিৎসা পদ্ধতিকে প্রতিরোধ করে ফুসফুস এবং ফুসফুসের নালিগুলিতে আক্রমণ করবে'।

আরও পড়ুন - বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ করোনা, আক্রান্ত ৯৫,০০০ বেশি মানুষ

নভেল করোনভাইরাস এবং কোভিড -১১ রোগের সঙ্গে এই বইতে বর্ণিত রোগের যে দারুণ মিল, তা বলাই বাহুল্য। অসুস্থতার প্রকৃতি শ্বাসকষ্ট, জ্বর। গত বছরের শেষ থেকেই এই সংক্রমণ শুরু হলেও এই বছর অর্থাৎ ২০২০ সালেই এটি গোটা বিশ্বে হুমকি দিতে শুরু করেছে। পরিচিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে কাজ না হওয়ার বিষয়েও অস্বাভাবিক সাদৃশ্য রয়েছে বইয়ের ভবিষ্যদ্বাণীর।

আরও পড়ুন - টাকার মাধ্যমে ছড়াতে পারে করোনা ভাইরাস, ডিজিটাল লেনদেন এর পরামর্শ 'হু'-এর

তবে একটাই বাঁচোয়া বইতে বলা হয়েছে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশিদিন থাকবে না। আসার অল্পদিনের মধ্যেই তা অদৃশ্য হয়ে যাবে। তবে, দশ বছর পর এই রোগ ফের ফিরে আসবে। তারপরে এরেবারে অদৃশ্য হয়ে যাবে। নেটিজেনরা স্বাভাবিকভাবেই বই-এর ভবিষ্যদবাণীর সঙ্গে এতদূর অবধি করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আশ্চর্য মিলে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। তবে তাঁরা চাইছেন, এখন পর্যন্ত যেমন বইয়ের সঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারীর চেহারা মিলে গিয়েছে, বাকিটাও যেন একইরকম হয়। অর্থাৎ, দ্রুতই পৃথিবীবাসীকে মুক্তি দেয় করোনাভাইরাস।

Share this article
click me!