করোনা প্রতিষেধক পৌঁছে দিতে ড্রোন, নিম্ন আয়ের দেশগুলিতে কোল্ড চেন তৈরিতে জোর

  • করোনার প্রতিষধক বিলি নিয়ে গবেষণা
  • নিম্ন আয়ের দেশগুলি নিয়ে উদ্বেগ 
  • প্রত্যন্ত এলাকায় প্রতিষেধক বিলি নিয়ে উদ্বেগ
  • জোর দিতে হবে কোল্ড চেনের ওপর 
     

আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলির প্রত্যন্ত এলাকায় করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ার জন্য মালবাহী ড্রোনের প্রয়োজন হতে পারে। ভ্রাম্যমান কোল্ড রুম বা মাইক্রো চিলারের প্রয়োজন হতে পারবে। বুধবার নতুন প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে করোনা টিকার বিলি নিয়ে বেশ কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়, হেরিয়ট ওয়াট বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের বিআরএসি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলিকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। 

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট খুব তাড়াতাড়ি প্রতিষেধক বাজারে আনতে চলেছে। সংস্থাটি প্রচুর প্রতিষেধক তৈরি করতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। আর সেক্ষেত্র বলা হয়েছে উচ্চ আয়ের দেশগুলির যদি আগে প্রতিষেধক পায় তাহলে তারা ৩৩ শতাংশ মৃত্যু রুখে দেওয়া যাবে। কিন্তু প্রতিষেধকের যদি সম বণ্টন হয় তাহেলে ৬০ শতাংশ মৃত্যু আটকে সক্ষম হবে বিশ্ব। আর সেই প্রতিবেদনেই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে নিম্ন আয়ের দেশগুলির প্রত্যন্ত এলাকায় প্রতিষেধকের সরবরাহ নিয়ে। 

Latest Videos

মনে আছে তো অ্যাবাটাবাদের কথা, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে আবারও হুঁশিয়ারি ভারতের ...

করোনা রোধে ফিরতে পারে নাইট কার্ফু, সংক্রমণ রুখতে ১ মাসের নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের ..

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলিতে প্রত্যন্ত এলাকায় করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক পাঠান একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রত্যন্ত এলাকার পরিকাঠামো নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশকে কেস স্টাডির কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সেখান থেকেই করোনা টিকা সরবরাহের জন্য কোল্ড চেনের এই ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিশ্বের ৭.৮ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে ৩ বিলিয়ন মানুষই সেই সব প্রত্যন্ত এলাকায় বাস করেন। সেই সব এলাকাগুলিতে কোল্ড চেনের জরুরি ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে করোনার প্রতিষেধকের পাশাপাশি বাকি টিকা কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে। কারণ মহামারির কারণে বিশ্বের ৮০ মিলিয়ন শিশু টিকাকরণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিষেধকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। টিকা সরবরাহের পাশাপাশি প্রতিষেধকের শিশি, সিরিঞ্জ, পিপিই কিট নষ্ট করে দিতে হবে বলেও বলা হয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে প্রতিষেধক বিলি করাই মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ। পাশাপাশি প্রতিষেধকের গুণগত মানের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলেছেন বিশ্বের সমস্ত মানুষকে দ্রুততার সঙ্গে করোনার টিকা দিতে হবে। না হতে এই রোগটি আবারও ফিরে আসতে পারে। 
 

Share this article
click me!

Latest Videos

'একত্রিত হতে হবেই, ওরা ৫০ পেরলেই শরিয়া আইন চালু করবে' গর্জে উঠলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | News
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury