শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, বিমান বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে তারা তারা সফল হয়েছে। এটাই ছিল পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সর্বশেষতম পদক্ষেপ।
চলতি মাসে পরপর বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা (Missile Test) করেছিল কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়া (North Korea)। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে রাষ্ট্র সংঘ (United Nation) একটি জরুরি বৈঠক করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন আর ফ্রান্সের অনুরোধে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। প্রায় একঘণ্টা ধরে চলেছিল রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (UNSC) বৈঠক। তারপরই তা নিয়ে রীতিমত অসন্তোষ প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া কথায় রাষ্ট্র সংঘের সদস্য দেশগুলি টাইম বোমা নিয়ে খেলছে।
শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, বিমান বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে তারা তারা সফল হয়েছে। এটাই ছিল পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সর্বশেষতম পদক্ষেপ। যা পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলির হৃদস্পন্দন আরও বাড়িয়ে দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কিম জং উনের দেশ।
Video Game: সমকামী সম্পর্ক ও অমানবিক চরিত্র বাতিল, ভিডিও গেমের ওপর আরও কড়াকড়ি
Punjab Congress: ভোল বদল সিধুর, ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার পাশে থাকার বার্তা
Mamata Banerjee Win: 'আমি স্বার্থপর নই' ভবানীপুরে জয়ের পর কেন একথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সেপ্টেম্বরে একটি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎপেক্ষণ করেছিল উত্তর কোরিয়া। চলতি সপ্তাহে শুরুতে একটি দক্ষণ কোরিয়া জানিয়েছিল এটি একটি হাইপারসনিক গ্লাইডিং যান। যা রীতিমত উন্নতমানের। উত্তর কোরিয়ার এজাতীয় পরীক্ষা বন্ধ করার আর্জি জানিয়েই রাষ্ট্র সংঘের সদস্যদেশগুলির আর্জিতে জরুরি বৈঠক হয়। আর সেই বৈঠক নিয়ে ক্ষোপ প্রকাশ করেছে পিয়ংইয়ং। বলা হয়েছে এটি একটি দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত করা। এজাতীয় পদক্ষেপ উস্কানি ছাড়া আর কিছুই নয়। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রত্যেক দেশের মত তাদেরও নিরাপত্তা সুনিশ্চ করার অধিকার রয়েছে। কিন্তু তাতেও বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উত্তর কোরিয়া।
যদিও সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার ওপর মার্কিন যুক্তারাষ্ট্রে জারি করা নিষেধাজ্ঞা কিছুটা হলেও শিথিল হয়েছে। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবেদনের ভিত্তিতে দেশটির ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর পূর্ব সুরী জো বাইডেন এখনও পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া সম্পর্কে মার্কিন নীতি ঘোষণা করেননি। আগের নীতিরও কোনও পরিবর্তন করেননি। যদিও উত্তর কোরিয়া নিয়ে বরাবরই সুর নরম করে রেখেছে চিন আর রাশিয়া। তাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জারি অবোরধও আংশিক তুলে নেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।